সারা দেশ

এবার শখের ড্রাগন বাগান করে এখন স্বাবলম্বী জহুরুল ইসলাম

এবার শখের ড্রাগন বাগান করে এখন স্বাবলম্বী জহুরুল ইসলাম

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে শখের বসে ড্রাগন বাগান করে এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন জহুরুল ইসলাম নামের সাবেক এক সেনা সদস্য। তার বাগানে রয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি ফলের গাছ। এতে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে অর্ধশতাধিক বেকার যুবকের। তার এই বাগান দেখতে প্রতিনিয়ত ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। তার এই বাগানে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

২০০৭ সালে জহুরুল ইসলাম সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর জীবনে সময় কাটানোর জন্য তিনি শখের বসে ২০০৯ সালে মাত্র ৮ বিঘা জমিতে উপজেলায় প্রথম হাড়িভাঙ্গা প্রজাতির আমের বাগান দিয়ে যাত্রা শুরু করেন। আমের বাগানে লাভবান হওয়ায় আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

জহুরুল ইসলাম বলেন, ২০০৭ সালে তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর জীবনে সময় কাটানোর জন্য তিনি শখের বসে ২০০৯ সালে মাত্র ৮ বিঘা জমিতে উপজেলায় প্রথম হাড়িভাঙ্গা প্রজাতির আমের বাগান শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে পর্যায়ক্রমে থাইপেয়ারা, ড্রাগন, ত্বীন ফল, মিশরীয় মাল্টা, কাশ্মিরী কমলা, দার্জিলিং কমলা, চায়না কমলা, আনার, কাটিমন আম, গৌরমতি আম, সুর্যডিম আম, অ্যাভোকাডোসহ প্রায় ২৩ ধরনের ফলগাছ সংযুক্ত করেন।

এখন ৬০ বিগা জমি জুড়ে রয়েছে সবুজের সমারোহ। গাছে গাছে দোল খাচ্ছে ফুল আর ফল। এক সময় শখ করে বাগানে ড্রাগন চাষ করলেও বর্তমানে বানিজ্যিক ভাবে রুপ নিয়েছে এটি। শখের বসে বাগান করে সফলতার মুখ দেখছেন তিনি। প্রথম দিকে কিছু গাছ নিয়ে বাগান শুরু করলেও বর্তমানে তার বাগানে রয়েছে ১২ হাজার গাছ।প্রথম দিকে অল্প পরিসরে কিছু ফল বিক্রি করলেও এইবার তার বাগানে ফল বিক্রির আশা প্রায় ১ কোটি টাকার।

বাগানের কয়েকজন শ্রমিক বলেন, এখানে আগে তেমন কোন ফলের বাগান ছিল না। জহুরুল চাচা বাগান করার পর আমরা এখানে কাজের সুযোগ পেয়েছি। আমরা ৫০ জন শ্রমিক এখানে কাজ করি। এতে আমাদের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার খরচ চলে।কয়েকজন দর্শনার্থী বলেন, আমরা শুধু শুনেছি যে এখানে একটা বড় ড্রাগন বাগান হয়েছে। তাই আমরা দেখতে এসেছি। দেখে ভালো লাগলো। আগামীতে আমাদেরও এই রকম বাগান করার ইচ্ছে রয়েছে।

নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলায় বর্তমান ব্যাপকহারে ফলের বাগান গড়ে উঠেছে। তার মধ্যে সাবেক সেনা সদস্য জহুরুল ইসলাম উপজেলায় ড্রাগন, ত্বীন, মাল্টা ও পেয়ারার বাগান করে সাড়া ফেলেছেন। তিনি একজন সফল বাগান মালিক। তাকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি। তার দেখাদেখি কেউ যদি ফলের বাগান করতে চান তাহলে আমরা সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করে যাব।