লাইফ স্টাইল

এবার গৃহিণীদের জন্য টাকা বাঁচানোর ৬ টিপস

আর্থিক স্বচ্ছলতা ধরে রাখতে এবং সর্বাধিক সঞ্চয় করতে গৃহিণীদের ভূমিকা কম নয়। কারণ একটি সংসারের অধিকাংশ খরচের তালিকা তাদের হাত দিয়েই তৈরি হয়। মাসিক খরচ কমিয়ে এনে অর্থ সঞ্চয় করতে পারলে তাতে শুধু পরিবারের জন্যই ভালো নয়, গৃহিণীর নিজের জন্যও ভালো। কারণ একজন গৃহিণীর নিজস্ব কোনো উপার্জন থাকে না। সংসারের খরচ সামলে কিছু অর্থ সঞ্চয় করলে তা তাকে আর্থিক স্বচ্ছলতা দেবে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক গৃহিণীরা খরচ বাঁচাতে কী করবেন-

১. বাজেট তৈরি করুন

একটি বাজেট তৈরি করুন যা আপনার মাসিক আয় এবং ব্যয়ের চিত্র তুলে ধরে। বিল, মুদি, পরিবহন, এবং বিবেচনামূলক ব্যয় সহ বিভিন্ন ব্যয়কে শ্রেণিবদ্ধ করুন। যেগুলো বেশি জরুরি, সেগুলো আগে পরিশোধ করুন। যেগুলো না হলেও চলে সেগুলো আপাতত বাদ দিতে পারেন।

২. খাবার পরিকল্পনা

আগে থেকে খাবারের পরিকল্পনা করতে পারাটা মুদি দোকানের খরচ বাঁচানোর একটি কার্যকর উপায়। একটি সাপ্তাহিক খাবারের পরিকল্পনা তৈরি করুন, একটি কেনাকাটার তালিকা তৈরি করুন এবং সেভাবে খরচ করুন। একসঙ্গে এক মাসের খাবার কিনে রাখলে খরচ কিছুটা কম পড়বে। খাবারের অপচয় কমাতে এবং সময় বাঁচাতে একবার রান্না করে একাধিক বার খেতে পারেন।

৩. কুপন এবং ক্যাশব্যাক

কুপন, ডিসকাউন্ট কোড এবং ক্যাশব্যাক অফারগুলোর সুবিধা নিয়ে মুদি এবং গৃহস্থালীর জিনিসপত্র কেনাকাটা করুন। অনেক স্টোর এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এ ধরনের সুবিধা পাওয়া যায় যা আপনাকে দীর্ঘমেয়াদে অর্থ বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে।

৪. ইউটিলিটি খরচ কমানো

বাড়ির ইউটিলিটি খরচ সম্পর্কে সচেতন হন। ডিভাইসগুলো ব্যবহার না হলে আনপ্লাগ করুন এবং এনার্জি এফিসিয়েন্ট যন্ত্রপাতি ব্যবহার করুন। ইউটিলিটি বিল কমাতে পারলে তা আপনার মাসিক সঞ্চয়কে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করবে।

৫. স্মার্ট কেনাকাটা

জামাকাপড়, আসবাবপত্র বা অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় আইটেম কেনার সময় একজন সচেতন ক্রেতা হোন। সেকেন্ড-হ্যান্ড বিকল্প বেছে নিতে পারেন, ছাড়ের সময় কেনাকাটা করুন এবং কেনাকাটা করার আগে অনলাইনে দামের তুলনা করুন। আবেগে পড়ে কেনাকাটার অভ্যাস এড়িয়ে চলুন।

৬. জরুরি তহবিল

একটি জরুরি তহবিল তৈরি করুন কারণ এটি সত্যিই সাহায্য করে। চিকিৎসা বিল বা বাড়ির মেরামতের মতো অপ্রত্যাশিত খরচের জন্য সঞ্চয় আলাদা করে রাখলে তা আপনাকে আপনার নিয়মিত বাজেট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখতে পারে। এ ধরনের তহবিল থাকলে প্রয়োজনের সময় ঋণ করার প্রয়োজন হয় না।