ভিন্ন স্বাদের খবর

পরীক্ষার হলে ৫০০ ছাত্রীর মাঝে একা জ্ঞান হারালো ছাত্র

পরীক্ষার হলে ৫০০ ছাত্রীর মাঝে একা জ্ঞান হারালো ছাত্র

পরীক্ষা হলে পরীক্ষার্থীদের আতঙ্কিত কিংবা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। প্রস্তুতি ভালো না হলে, প্রশ্ন কমন না এলে, জানা উত্তর ভুলে গেলে অথবা সময়ের আগে উত্তর শেষ করার তাড়ায় পরীক্ষার হলে অনেকেই টেনশনে পড়ে যান। বিশেষ করে বোর্ড পরীক্ষায় অচেনা-অজানা পরিবেশে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়া নিয়েও অনেক শিক্ষার্থীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করে।

কিন্তু ১৭ বছর বয়সী মণীষ শঙ্করের সম্ভবত অচেনা পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গে বিপরীত লিঙ্গের মানুষ নিয়েও ভীতি রয়েছে। বিহারের বিহারের নালন্দার ব্রিলিয়ান্ট কনভেন্ট প্রাইভেট স্কুলে সে দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা দিতে যায়। সেদিন ছিল গণিত প্রথম পত্রের পরীক্ষা। পরীক্ষা হলে বসার সময়ে শঙ্কর আবিষ্কার করলো, সেখানে থাকা ৫০০ ছাত্রীর মাঝে সে একাই ছাত্র।

গণিত প্রথম পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নে আসা গাণিতিক সমস্যা সমাধান করবে কী, উল্টো ৫০০ ছাত্রীর মাঝে নিজেকে একা ছাত্র হিসেবে আবিষ্কার করে পরীক্ষার আগেই জ্ঞান হারায় শঙ্কর। বিহারের আলমা ইকবাল কলেজের এ ছাত্রকে পরবর্তীতে বিহারশরীফ সদর হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়। এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

শঙ্করের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, পরীক্ষার হলে ৫০০ জন মেয়ের মাঝে নিজেকে একা দেখে সে আতঙ্কিত হয়ে যায়। বিহারশরীফ সদর হাসপাতালে শঙ্করের এক আত্মীয়া বলেন, ভয় পেয়ে গিয়ে তার মাথাব্যথা শুরু হয়ে এবং জ্বর এসে যায়। চিকিৎসকরা জানান, আপাতত শঙ্করের অবস্থা স্থিতিশীল। তবে তার চিকিৎসা অব্যাহত আছে।

ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনাটি ভাইরাল হয়ে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকে অবশ্য ব্যাপারটিকে নিয়ে হাসি-তামাশায়ও মেতে উঠেছেন। তবে কেউ কেউ আবার বিষয়টি নিয়ে মজা করা অনুচিত বলেও মন্তব্য করেছেন।বোকামির কারণে চাপের মুখ পড়লেও নালন্দার ব্রিলিয়ান্ট কনভেন্ট প্রাইভেট স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানায়, ছেলেটি সম্ভবত পরীক্ষার নিবন্ধনের সময়ে ভুল করে নিজের লিঙ্গ নারী হিসেবে উল্লেখ করেছে। এ কারণেই তার পরীক্ষার সিট নারী শিক্ষার্থী দিয়ে পূর্ণ একটি হলে পড়েছে।

পরীক্ষা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ শশী ভূষণ প্রসাদ বলেন, ছেলেটি যখন দেখল তার প্রবেশপত্রে তার লিঙ্গকে নারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তখন তার উচিত ছিল অবিলম্বে তা সংশোধন করা। প্রবেশপত্রে কোনো তথ্য ভুল থাকলে তা সংশোধনের জন্য ২০ দিন সময় পাওয়া যায়, যা পর্যাপ্ত। ছেলেটির অথবা তার অভিভাবকের পক্ষ থেকে কিংবা যে স্কুলে তার ফর্ম পূরণ করা হয়েছিল, তাদের অসাবধানতার কারণে এমনটা ঘটেছে।