ভিন্ন স্বাদের খবর

এবার গরু কিনলে মিলবে এসি-মোটরসাইকেল

আসছে পবিত্র ঈদ-উল-আজহা। মুসলমান ধর্মালম্বীদের এই উৎসব উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে জমে উঠছে কোরবানির পশুর বেচাকেনা।প্রতিবছরের মতো এবারও দেশের বিভিন্ন খামারে বিক্রেতারা তাদের বিশাল আকৃতির পশু বিক্রির জন্য অভিনব সব কৌশল নিচ্ছেন।মাগুরায় কোরবানির পশু বিক্রি নিয়ে দুই খামারি দিয়েছেন পুরস্কারের ঘোষণা।

তাদের গরু কিনলেই পাওয়া যাবে এসি ও মোটরসাইকেল। দুই খামারি গরু দুটির নাম রেখেছেন মহারাজ ও ভাগ্যরাজ। গরু দুটির দাম হাকা হচ্ছে যথাক্রমে ২০ ও ২৫ লাখ টাকা। প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করা গরুগুলোকে দেশের অন্যতম সেরা কোরবানির পশু হিসেবে দাবি করছেন তারা।জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের বহলবাড়িয়া গ্রামের জীবন বিশ্বাসের ঘরে লালিত-পালিত মহারাজ।

২৮ মাস বয়সী ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরুটি ছয় ফিট উচ্চতা ও ১৪ ফিট লম্বা। কালো রঙের বিশালদেহি এই গরুর ওজন ৩০ মণ।অন্যদিকে, পার্শ্ববর্তী খালিয়া গ্রামের কৃষক মোফাজ্জল হোসেনের গোয়ালে রয়েছে ৪০ মণ ওজনের ভাগ্যরাজ। এই গরুর মালিকের দাবি, জন্মের পর থেকে নিজের মায়ের পাশাপাশি একই গোয়ালে থাকা আরও চার গাভীর দুধ খেয়ে বড় হয়েছে ভাগ্যরাজ।

মোফাজ্জল হোসেন বলেন, গরুটি আমি সন্তানের মতোই লালন পালন করেছি। প্রাকৃতিক খাবারই খাইয়েছি। কোরবানির জন্য যে ভাগ্যরাজকে কিনবে তাকে একটি পালসার মোটরসাইকেল উপহার দেওয়া হবে।এদিকে, বিশাল দুটি গরু দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন আশপাশের মানুষ। তাদের সবার মুখে শোনা গেছে গরুগুলোর সুখ্যাতি। কেউ আবার দামাদামি করছেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.মিহির কান্তি বিশ্বাস জানান, আসন্ন কোরবানি উপলক্ষে জেলায় ছয় হাজার ৭৪৭টি অনিবন্ধিত ও চারটি নিবন্ধিত খামারে ৯২ হাজার ৮৯১টি পশুকে তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে গরু রয়েছে ৩২ হাজার ২৩৪টি। জেলায় চাহিদা রয়েছে ৬৯ হাজার ৬৭৮ টি।

আরও খবর

Sponsered content