ভিন্ন স্বাদের খবর

ইঁদুর মারতে কুকুর-বিড়াল নিয়োগ

ইঁদুরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ নগরবাসী। শহরের সব অলিগলি, আনাচে-কানাচে ইঁদুরের উৎপাত। নাইট ক্লাব আর রেস্তোরাঁর উচ্ছিষ্টের লোভে একেবারে সড়কে উঠে আসছে ইঁদুরের পাল। ঢুকে পড়ছে ঘরের ভেতর। এমনকি কামড়াচ্ছেও বাসিন্দাদের। ডাস্টবিন আর নর্দমা থেকে টেনে বের করছে নোংরা।

ইঁদুরের এহেন কীর্তিকলাপে প্রাণ ওষ্ঠাগত স্থানীয়দের।পরিস্থিতি যখন এমন—তখন ইঁদুরের উপদ্রব থেকে বাঁচতে শেষমেশ কুকুর ও বিড়াল নিয়োগ করছে নগর কর্তৃপক্ষ। এতে অবশ্য ইঁদুরের পালকে কাবু করা গেছে।

এ ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনের অ্যাডামস মর্গ্যান শহরে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউসের পাশেই এর অবস্থান।গতকাল সোমবার এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইঁদুরের দৌরাত্ম্য থেকে বাঁচতে ওয়াশিংটন প্রশাসন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর ও বিড়াল পথে নামিয়েছে।

আর কাজে যোগ দিয়েই ইঁদুরনিধন যজ্ঞে নেমে পড়েছে তারা।বোমানি নামে একজন বলেন, শহরের ইঁদুরগুলো এতটাই বেপরোয়া কুকুর দেখেও তারা পালিয়ে যাওয়ার বিন্দুমাত্র চেষ্টা করছে না। একটি র‌্যাটার কুকুর তিন ঘণ্টায় অন্তত ৩০টি ইঁদুর মারতে পারে। এমন কাজে বিড়ালও পিছিয়ে নেই ।

সব মিলিয়ে শহরে রাতারাতি ইঁদুরের দৌরাত্ম্য অনেকখানি কমে গেছে।এককালে পেস্ট কন্ট্রোলের কাজেও শিকারি কুকুর ও বিড়াল ব্যবহার করা হতো বলে জানিয়েছেন এক ইঁদুর-বিশেষজ্ঞ।

তিনি বলেন, ‘ইঁদুর মারার ক্ষেত্রে বিষ প্রয়োগের থেকেও এই পদ্ধতি বেশি কার্যকর। বিষ প্রয়োগের ফলে ইঁদুরের মৃত্যু হলে সেই মৃতদেহ যখন অন্য প্রাণী খায়, তখন তাদের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।