সারা দেশ

ইসলাম গ্রহণ করায় লাশ নেয়নি পরিবার বেওয়ারিশ কবরস্থানে দাফন

ইসলাম গ্রহণ করায় আলী আকবর (আগের নাম প্রেমাংশু রঞ্জন রায়) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ নিতে রাজি হয়নি তার পরিবার। দাফন করেছে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর’। শনিবার (২৫ নভেম্বর) বাদ আসর মেড্ডা সার গোডাউন চত্বরে জানাজার পর বেওয়ারিশ মরদেহ কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এরআগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানাপুলিশের কাছ থেকে বাতিঘরের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আজহার উদ্দিন মরদেহ গ্রহণ করেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, গতবছরের ৩ জুলাই ইসলাম গ্রহণ করে ঘর ছাড়েন আলী আকবর (৪৫)। এজন্য বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করতেন তিনি। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার বড় বাকাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্বপাশের তিতাস নদীর পাড়ে খেয়াঘাটের গাছের নিচে অসুস্থ হয়ে পড়েন আলী আকবর।

সেখানেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে সদর মডেল থানার পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন জানান, আলী আকবরের বাড়ি সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার উত্তর কামলা বাজার এলাকায়। তার নাম ছিল প্রেমাংশু রঞ্জন রায়।

বাবা হিমাংশু শেখর রায়, মা ফনী বালা রায়। প্রেমাংশু বিয়ে করেননি।গতবছরের ৩ জুলাই এফিডেভিটের মাধ্যমে ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম গ্রহণ করে আলী আকবর নাম ধারণ করেন। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পেরে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেন। ওসি আরও বলেন, আলী আকবরের মৃত্যুর খবর তার চাচা সিতু চন্দ্র রায় ও দুই ভাইকে জানিয়ে মরদেহ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করলে তারা রাজি হননি।

পরে বেওয়ারিশ মরদেহ দাফনকাজের সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আজহার উদ্দিনকে বিষয়টি জানাই। তিনি মরদেহ গ্রহণ করে দাফনের ব্যবস্থা করেন।