সারা দেশ

ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

গত কয়েকদিন ধরে প্রকৃতিতে বইতে শুরু করে শীতের হাওয়া। আর শীত পড়তেই নড়াইল শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে বসেছে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান। সন্ধ্যা থেকে প্রায় রাত ১০টা পর্যন্ত এসব পিঠার দোকানে চলছে ক্রয়-বিক্রয়। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিকাল হতেই নড়াইল শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পিঠার দোকান মেলতে শুরু করে। সূর্য ডুবতে ডুবতে মাটির চুলায় তৈরী হয় ধোঁয়া ওঠা ভাপা পিঠা, আবার কেউ তৈরি করেন চিতই পিঠা। চিতই পিঠার সাথে মিলছে নানান রকমের ভর্তা।

রকমভেদে ৫ থেকে শুরু করে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব পিঠা। সন্ধ্যা থেকে পিঠার স্বাদ রীতিমতো সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে পিঠা কিনছেন ক্রেতারা। আর স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগে পিঠা বিক্রি করেই ভালো লাভ হওয়ায় পুরুষদের পাশাপাশি অনেক নারীদেরও শীতের পিঠা বিক্রি করতে দেখা যায়। এই মৌসুমে পিঠা বিক্রির আয় দিয়েই চলে তাদের সংসার।পিঠা খেতে আসা শুভ সরকার বলেন, প্রতিবছরই যখন শীত পড়ে নড়াইলের বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশে বিভিন্ন ধরনের পিঠা বিক্রি হয়। এবারও বিক্রি হচ্ছে।

আজ আমরা আসছি পিঠা খেতে, বেশ ভালই লাগছে।সাদিয়া আফরা নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, শীতকালে যখনই সময় পায় পিঠা খেতে আসার চেষ্টা করি। পিঠা আমার অনেক পছন্দের। আর এখানকার পিঠা আমার কাছে বেস্ট লাগে। এখানকার পিঠায় মনে হয় স্পেশাল কিছু আছে। সব পিঠার মধ্যে চিতই পিঠাটা একটু বেশি ভালো লাগে। এই পিঠার সাথে যে ভর্তা গুলো দেয় সেগুলা সবসময় খাওয়া হয় না। এখানে আসলে সেটা খেতে পারি এজন্য ভালো লাগে।

তাহের মোল্যা বলেন, শীত মৌসুমে সারা শহরজুড়ে ভ্রাম্যমান পিঠার দোকান বসে। দেখে মনে হয় যেন পিঠার উৎসব হচ্ছে। এসময় আমরা নিয়মিত আসি পিঠা খেতে। পরিবারের জন্য নিয়ে যায়, তারাও অনেক পছন্দ করে।পুরাতন বাস টার্মিনালের পিঠা বিক্রেতা মো. ফিরোজ শেখ বলেন, তিনি গত ৩ বছর ধরে শীত মৌসুমে পিঠা বিক্রি করছেন। এ বছর তিনি চিতই ও ভাপা পিঠা বিক্রি করছেন।

তিনটা চুলায় প্রতিদিন প্রায় ২০-২৫ কেজি চালের পিঠা বিক্রি হয়। তার দোকানে ক্রেতাদের প্রচুর ভিড় হয়৷মুচিপোলের এক নারী পিঠা বিক্রেতা বলেন, চার বছর ধরে পিঠা বিক্রি করছেন। তিনি শুধু ভাপা পিঠা বিক্রি করেন। শীত মৌসুমে পিঠা বিক্রি করেই তাদের সংসার চলে।

আরও খবর

Sponsered content

%d bloggers like this: