21 February 2024 , 5:05:38 প্রিন্ট সংস্করণ
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে একদিনে ৫টি মৃত মা কাছিম ভেসে এসেছে। এর মধ্যে হিমছড়ি সৈকতের প্যারাসেলিং পয়েন্টে ২টি এবং সোনারপাড়া পয়েন্টে ১টি, সোনাপাড়া সৈকতে ২টি মা কাছিম ভেসে আসে। বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবারে পাওয়া কাছিমগুলোর পেটে ডিম রয়েছে। তবে তা পচে যাওয়ায় সংগ্রহ বা সংখ্যা জানা যায়নি।৫টি কাছিমই অলিভ রিডলি এবং নারী। এ নিয়ে গত ৬ দিনে সমুদ্র উপকুলে ভেসে এসেছে ১১টি ‘মা কাছিম। যে কাছিমে পাওয়া গেছে ৭’শত ডিম। জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভেসে এসেছে ৪৪টি মৃত ‘মা কাছিম’।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সকালে ভেসে আসা দুইটির সামনের ও পিছনের ফ্লিপারগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। বিকালে পাওয়া ৩টি কাছিম পচে গেছে। ডিম দিতে উপকুলে আসার সময় জালে বা অন্য কোনভাবে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে এদের মৃত্যু হতে পারে।এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি সৈকতের হিমছড়ি প্যারাসেলিয়ং পয়েন্টে ভেসে আসে ৯৫টি ডিম পেটে থাকা একটি মা কাছিম।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে আবারও ভেসে আসে তিনটি মৃত মা কাছিম। এরও আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের হিমছড়ি পয়েন্টে একটি মৃত মা কাছিম ভেসে আসে। এর আগে ৩ দিনে উপকুলে দেখা মিলেছে ৩টি মৃত ডলফিন, ১টি মৃত পরপইস ও ১টি কাছিম।
বোরি’র দেওয়া তথ্য মতে, জানুয়ারি থেকে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের সোনাদিয়া, হিমছড়ি, সোনারপাড়া, ইনানী ও টেকনাফ সৈকতে ৪৪টি মৃত কাছিম পাওয়া গেছে। শুধুমাত্র ৬ দিনে সৈকতে পাওয়া গেছে ১১টি মৃত মা কাছিম। এই সময়ের মধ্যে ৩টি মৃত ডলফিন, ১টি মৃত পরপইস ভেসে এসেছে।
এ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ। তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে ভেসে আসা মৃত সামুদ্রিক প্রাণীগুলোর নমুনা সংগ্রহ করে মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন। বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এটা কখনও হয়নি।