সারা দেশ

অন্তঃসত্ত্বা পপির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ফেনীতে জাহানারা আক্তার পপি (২২) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মরদেহ বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি ফেনীর সোনাগাজী পৌরসভার বাসিন্দা সৌদি আরব প্রবাসী আবু জাহেদের স্ত্রী। পপির মরদেহ শ্বশুর বাড়ি সোনাগাজী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সংলগ্ন ইউসূফের নতুন বাড়ি থেকে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে উদ্ধার করা হয়।

সেখান থেকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের পর শনিবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিহতের লাশ বাবার বাড়িতে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫ বছর আগে সোনাগাজী পৌরসভার বাসিন্দা সৌদিপ্রবাসী আবু জাহেদ সুমনের সঙ্গে মতিগঞ্জ ইউনিয়নের স্বরাজপুর গ্রামের নেজাম উদ্দিনের মেয়ে জাহানারা আক্তার পপির বিয়ে হয়।

বিয়ের কিছুদিন পর জীবিকার তাগিদে সুমন সৌদি আরব চলে যায়।নিহতের বড় ভাই আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আমার ছোট বোন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। আমার বোনকে তার শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছিল। আমার ভগ্নিপতি সৌদি আরব প্রবাসী আবু জাহেদ আমাকে মুঠোফোনে জানায় পপিকে তার পরিবারের সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।

এদিকে স্থানীয় রাহেলা আক্তার নামে গৃহবধূ বলেন, খুব শান্ত ও ভদ্র আচরণ করতেন পপি। তার ওপর নির্যাতনের ঘটনা এলাকার সবাই জানে। ঘটনার পর তার শ্বশুর দ্রুত পালিয়ে যাচ্ছে দেখে আমরা তাদের ঘরে যাই। ওই সময় ঘরের সামনে শাশুড়িকে কাঁদতে দেখে আমরা ভেতরে গিয়ে শয়নকক্ষে পপিকে হাঁটু গেড়ে বৈদ্যুতিক পাখার সাথে ঝুলতে দেখি।

পরে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়।সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম বলেন, গৃহবধূর মৃত্যুর খবর পেয়ে সৌদি প্রবাসী আবু জাহেদের ঘর থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷নিহত গৃহবধূর মানুসান আফরান নামে ৪ বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

%d bloggers like this: