বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

চাঁদে এখনও পর্যন্ত পা রেখেছেন যে মহাকাশচারীরা

চাঁদের রহস্য উন্মোচিত করতে একের পর এক চন্দ্রাভিযানের ধারাবাহিকতায় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ছাড়িয়ে চাঁদের উঁচু-নিচু পাথুরে পৃষ্ঠে পা রেখে চলছে মানুষ। নাসার অ্যাপোলো স্পেস মিশন চাঁদের মাটিতে রেখে আসে মানুষের প্রথম পদচিহ্ন।চাঁদের মাটিতে প্রথম মানুষের পা পড়ে ১৯৬৯ সালের ২১ জুলাই।
এরপর ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিন বছর বিভিন্ন সময় মোট ১২ জন মহাকাশচারী চাঁদের মাটিতে পায়চারি করতে সফল হন।চাঁদের সবকয়টা অভিযানই ছিল নাসার অ্যাপোলো প্রোগ্রামের অন্তর্গত। নীল আর্মস্ট্রং এবং বাজ অলড্রিন হলেন চাঁদে পা রাখা প্রথম ও দ্বিতীয় মানুষ।
এরপর আরো ১০ জন চাঁদে গিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি বয়সে চাঁদে পা রাখেন অ্যালান শেপার্ড। তখন তার বয়স ছিল ৪৭ বছর ৮০ দিন এবং সবচেয়ে কম বয়সে চাঁদে পা রাখার নজির গড়েন চার্লস ডিউক। মাত্র ৩৬ বছর ২০১ দিন বয়সেই এই কীর্তি গড়তে সফল ডিউক।
আর এখন পর্যন্ত চাঁদের পৃষ্ঠে হাঁটার অবিশ্বাস্য সুবিধা পেয়েছেন যে মহাকাশচারীরা, তাদের সবাই আমেরিকান। এবার চলুন ক্রমানুসারে জেনে নিই চাঁদে এখনও পর্যন্ত পা রেখেছেন যে মহাকাশচারীরা-
১. চাঁদে প্রথম পা রাখেন নীল আর্মস্ট্রং। মিশনের নাম ছিল অ্যাপোলো-১। আর্মস্ট্রং মারা যান ২৫ অগাস্ট ২০১২ সালে। নাসার পক্ষ থেকেই মিশনে গিয়েছিলেন তিনি। ১৯৬৯ সালের ২১ জুলাই চাঁদে পা রাখেন আর্মস্ট্রং।
২. চাঁদে পা রাখা দ্বিতীয় ব্যক্তির নাম বাজ অলড্রিন। এয়ারফোর্স অ্যাস্ট্রনট সার্ভিসের সদস্য ছিলেন তিনি। আর্মস্ট্রংয়ের সঙ্গেই চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন অলড্রিন।
৩. পিট কনরাড। মিশনের নাম অ্যাপোলো ১২। ১৯৬৯ সালের ১৯ নভেম্বর চাঁদের মাটিতে পা রাখেন তিনি।
৪. অ্যালান বিন। পিট কনরাডের সঙ্গেই চাঁদে যান তিনি।
৫. অ্যালান শেপার্ড। কনরাডদের দুবছর পর ১৯৭১ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি চন্দ্রলোকে অভিযান করেন শেপার্ড।
৬. শেপার্ডের সঙ্গেই চাঁদে পাড়ি দিয়েছিলেন এডগার মিচেল।
৭. চাঁদে পা রাখা সপ্তম ব্যক্তি হলেন ডেভিড স্কট। মিশনের নাম ছিল অ্যাপোলো ১৫। এয়ারফোর্স অ্যাস্ট্রোনট স্কট চাঁদের সফরে যান ৩১ জুলাই-২ অগাস্ট ১৯৭১-এ।
৮. এয়ারফোর্সের সদস্য জেমস আর্ভিন স্কটের সঙ্গেই পাড়ি দেন চাঁদে।
৯. জন ইয়ং হলেন নবম ব্যক্তি যিনি চাঁদে পা রাখেন।
১০. ইয়ংয়ের সঙ্গেই চাঁদে পা রাখেন চার্লস ডিউক।
১১. জেনি কার্নান।
১২. চাঁদে পা রাখা এখনও পর্যন্ত সর্বশেষ ব্যক্তি হলেন নাসার হ্যারিসন স্কিমিট। ১৯৭২ সালের ১১-১৪ ডিসেম্বর চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন তিনি।

%d bloggers like this: