খেলাধুলা

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় সংগ্রহ বাংলাদেশের

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে বেশ কিছু সমীকরণ নিয়ে বিশ্বকাপে নিজের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে অজিদের ৩০৭ রানের টার্গেট দিয়েছে টাইগাররা। শনিবার (১১ নভেম্বর) পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।

প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস। ধীরগতির শুরু করেন এই দুই ব্যাটার। প্রথম ৫ ওভার সাবধানে পার করেন তারা।এরপর রান তোলার গতি বাড়ান তামিম-লিটন। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের কোনো সুযোগ না দিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন তারা।

এইদিন আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন লিটন ও তামিম।তবে এরপরেই নিজের উইকেট বিলিয়ে আসেন তানজিদ তামিম। দলীয় ৭৬ রানে ৩৪ বলে ৩৬ রান করে শন অ্যাবোর্টের বলে আউট হন তানজিদ তামিম। এরপর ক্রিজে আসা নাজমুল হাসান শান্তকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন লিটন।তবে তামিমের মতো হঠাৎ নিজের উইকেট বিলিয়ে দেন লিটন। দলীয় ১০৬ রানে অ্যাডাম জ্যাম্পার বলে লং অনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন লিটন।

৪৫ বলে ৩৬ রান করেন তিনি।এরপর ক্রিজে আসা তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন নাজমুল হাসান শান্ত। মারমুখি ভঙ্গিতে ব্যাট করতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। রান আউট হয়ে দলীয় ১৭০ রানে ৫৭ বলে ৪৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যান শান্ত।শান্তর বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন রিয়াদ।

তবে শান্তর মতো রিয়াদও রান আউট হন। দলীয় ২১৪ রানে ২৮ বলে ৩২ রান করে আউট হন রিয়াদ। এরই মাঝে ৬১ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন হৃদয়।এরপর ক্রিজে এসেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। ২৫১ রানে ২৪ বলে ২১ রান করে আউট হন তিনি। মুশফিকের বিদায়ের পর ক্রিজে আসা মেহেদি হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন হৃদয়।

তবে দলীয় ২৮৬ রানে ৭৯ বলে ৭৪ রান করে আউট হন হৃদয়। তবে মিরাজের ব্যাটে তিনশো পেরোয় বাংলাদেশ। দলীয় ৩০৩ রানে ২০ বলে ২৯ রান করে আউট হন মিরাজ। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।