7 February 2025 , 8:25:11 প্রিন্ট সংস্করণ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার প্রতিবাদে য্লুীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক এমপি ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে দুই দফা ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাতে এবং গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্র জনতা। গতকাল বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কুমারখালী পাবলিক লাইব্রেরির সম্মুখে তিনতলা ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় সাবেক এমপি জর্জের ব্যক্তিগত কার্যালয়। কার্যালয়ের দরজা, জানালা, আসবাবপত্র, এসিসহ যাবতীয় জিনিসপত্রের ভাঙা অংশ যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটে আছে। কয়েকজন শিশু ভাঙা অংশের কয়েক টুকরো খুঁটছেন। এ সময় প্রতিবেদকের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা দ্রুত সটকে যান। নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয়রা জানান, ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর পালিয়ে যান সাবেক এমপি জর্জ তাঁর সমর্থকরা। সেদিন প্রথম দফায় জর্জের কার্যালয়ে বাইরে থেকে ভাঙচুর করেন বৈষম ্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র-জনতা। এরপর গত বুধবার রাতে এবং বৃহস্পতিবার দুপুরে কার্যালয়ের ভিতরে ভাঙচুর করে লুটপাট করেছে ছাত্রজনতা। বর্তমানে সাবেক এমপি জর্জ একাধিক হত্যা ও রাজনৈতিক মামলায় কারাগারে রয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামী লীগ নেতা ফোনে বলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জের ব্যক্তিগত কার্যালয়ের ব্যাপক ভাঙচুরের পর লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা। জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমারখালী উপজেলা শাখার সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আলী বলেন, ফ্যাসিস সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফেসবুকে বক্তব্য দেওয়ার প্রতিবাদে বুধবার রাতে এবং বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জর্জের কার্যালয়ে ভাঙচুর করেছে ছাত্র জনতা। তবে কোনো লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ। তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।