সারা দেশ

রাতভর পিটিয়ে যুবককে হত্যা চুরির অভিযোগে

কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকায় সাজ্জাদ নামের এক যুবককে তুলে নিয়ে রাতভর পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, গরু চুরির অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে তাকে। শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে তাকে হাসপাতালে ফেলে যায় হত্যাকারীরা। তার সঙ্গে আরও চারজনকে পেটানো হয়। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

শনিবার ভোরে সাজ্জাদের পরিবারের কাছে খবর যায়, সাজ্জাদের মরদেহ হাসপাতালে পড়ে রয়েছে। সাজ্জাদের বাড়ি কলাতলীর মেম্বারঘাটা এলাকায়। হাসপাতালের মর্গের সামনে কথা হয় তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। তারা জানান, সাজ্জাদ চুরি বা অন্যকোন অপরাধের সঙ্গে জড়িত নয়। মূলত অপহরণ করে মুক্তিপণের জন্য গরু চুরির নাটক সাজিয়েছিল।

তাদের মারধরে সাজ্জাদের মৃত্যু হয়েছে।সাজ্জাদের স্বজন ও এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্যমতে, সাজ্জাদসহ ৫ জনকে গরু চুরির অপবাদে আটক করে কলাতলীর সৈকতপাড়া এলাকার নুর মোহাম্মদের পরিবার ও তার আত্মীয় স্বজনেরা। বিভিন্ন স্থানে কয়েক দফা পেটানোর পর তাদেরকে নুর মোহাম্মদের বাড়িতে আটকে রেখে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়।

হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে চুরির অপবাদ দিয়ে তাদেরকে কয়েক দফায় পেটানো হয়। এক পর্যায়ে জোর করে টাকাও আদায় করে। তাদেরকে জিম্মি করে টাকা আদায়ের ভিডিও চিত্রও দেখান সাংবাদিকদের। তাদেরকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে গরুর মালিক দাবিদার নুর মোহাম্মদ, তার ছেলে রাসেল ও সোহেল, ভাতিজা আকাশ ও আরিফ, স্থানীয় মনজুর, মনির, সমাজের নেতা দাবি করা নুরুল আলম ও নাছির উদ্দিনসহ অনেকের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্তরা সবাই শহরের সৈকত পাড়ায় একটি অপরাধমূলক কাজের চক্র বলে জানা গেছে। এদিকে সাজ্জাদের মৃত্যুর পর নুর মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ রাসেল ছাড়া বাকিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। সৈকতপাড়ায় গিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। চুরি করলে মারবে এটাই স্বাভাবিক উল্লেখ করে তাদের মারধরে মৃত্যু হয়নি দাবি করে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করেন।

এদিকে শনিবার রাতে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে শহরের কলাতলিতে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান বলেন, হত্যায় জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে। মামলাও প্রক্রিয়াধীন বলে জানান ওসি।

আরও খবর

Sponsered content