জাতীয়

এবারও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন পাচ্ছি না বলনেন টিআইবি

এবারও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন পাচ্ছি না বলনেন টিআইবি

এবারও জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়ার মতো কিছু পাওয়া যাচ্ছে না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ‘গণতন্ত্র, সুশাসন ও শুদ্ধাচার চর্চার রাজনৈতিক অঙ্গীকার: টিআইবির সুপারিশমালা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার আগে ও পরে পরিমাপকগুলোর ওপর ভিত্তি করে আমরা যে পর্যবেক্ষণ করেছি, তাতে মোটামুটি ধারণা বদ্ধমূল হয়েছে যে, সত্যিকার অর্থে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে যা বোঝায়, সেটি আমরা এবারও পাচ্ছি না। এটি আমাদের উদ্বেগের বড় কারণ।অংশগ্রহণমূলক না হলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে উল্লেখ করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এর মাধ্যমে ক্ষমতায় কারা যাবে তাও নির্ধারণ হবে।

কিন্তু ভোটের অধিকারভিত্তিক যে নির্বাচন তা নিশ্চিত করা যাবে না, জনগণের আস্থা এ ভোটের ওপর নিশ্চিত হবে না।আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে গণতন্ত্র, সুশাসন ও শুদ্ধাচার চর্চার রাজনৈতিক অঙ্গীকারের লক্ষ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ৭৬ দফা সুপারিশ উত্থাপন করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।সুপারিশগুলো গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা দেখেছি আমাদের পরামর্শের ওপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন করে।

সব প্রতিষ্ঠানের যথাযথ ভূমিকা পালনে যে প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সেটা হচ্ছে রাজনৈতিক দল। কারণ, ক্ষমতা রাজনৈতিক দলের হাতে। যারা ক্ষমতায় থাকেন তাদের হাতেও ক্ষমতা, যারা ক্ষমতার বাইরে থাকেন তাদের হাতেও রাজনৈতিক ক্ষমতা আছে। যাদের হাতে রাজনৈতিক ক্ষমতা আছে, তাদের মধ্যে যদি এই সংস্কৃতি গড়ে ওঠে তাহলে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় যে অপ্রাপ্তি আছে সেগুলো পূরণ হবে।

তিনি বলেন, ‘৫০ বছর ধরে আমরা আসনভিত্তিক সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চা করেছি। আমরা মনে করি এখন সময় এসেছে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক সংসদ প্রতিষ্ঠা করা। এ বিষয়টি আমরা এখন পরামর্শ দিচ্ছি। আমরা বলছি না এটি এখনই করে ফেলা যাবে। এটি নিয়ে সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।