10 April 2024 , 12:47:37 প্রিন্ট সংস্করণ
‘শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা’ প্রবাদটিকে মিথ্যা প্রমাণ করেছেন খামারি আজিজুল হক। তার বাড়িতে পরিবারের সদস্যের মতোই হাঁস-মুরগি-ছাগলের সাথে বসবাস শেয়ালেরও। ভয় পায় না কেউ কাউকে, খাওয়াও একই পাত্রে।
নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার নয়নকান্দি গ্রামের খামারটিতে এসে বিস্মিত মানুষজন।শেয়াল দেখলেই প্রাণ বাঁচাতে ভয়ে পালায় গৃহপালিত পশু-পাখি। তবে বিস্ময়কর হলো, একই বাড়িতে সেই শেয়ালের সাথেই লালিত-পালিত হচ্ছে বেশকিছু হাঁস-মুরগি আর ১২টি ছাগল।
খামারি আজিজুল হক জানালেন, একই সাথে একই পাত্রের খাবারও খায় প্রাণিগুলো।আজিজুল হক বলেন, “হাঁস-মুরগী-ছাগল একসঙ্গেই থাকে কোনো ক্ষয়ক্ষতি করেনা। শেয়ালটি সময় হলেই তার খাবার খায়।
শখের বশেই শেয়ালটি পালন করছেন আজিজুল। অন্যগুলোর সাথে সখ্যতা গড়ে নিয়েছে নিজেই।খামারি বলেন, “আড়াই-তিনমাসের বয়স থেকে একসঙ্গে বসবাস করছে শেয়ালটি।
আজিজুলের বোন বলেন, “বছরে চার-পাঁচটি ছাগল নিয়ে যেত অন্য শিয়ালগুলো। এটি পালন করার পর থেকে একটা ছাগলেরও ক্ষতি হয়নি।গ্রামবাসীরা জানান, অন্য প্রাণিগুলোর সাথে ঘুরে বেড়ালেও কারো ক্ষতি করে না শেয়ালটি।
গ্রামবাসীরা বলেন, “সে নিজের পোলাপানের মতো পালছে। শেয়ালটি যে কোনো ক্ষয়ক্ষতি করেছে এটা আমাদের জানা নাই। বিভিন্ন বাড়িতে যায়।বাড়িটির নামও এখন শেয়ালবাড়ি। হাঁস-মুরগি-ছাগলের সাথে শেয়ালের বসবাস দেখে বিস্মিত দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসা দর্শনার্থীরাও।
তবে বন্যপ্রাণি হওয়ায় রোগ-জীবাণু থেকে বাঁচতে শেয়ালটিকে দিতে হবে জলাতঙ্কের টিকা।কলমাকান্দা ভেটেরিনারী সার্জন আনোয়ার পারভেজ বলেন, “শেয়ালটিকে ভ্যাকসিন দিতে হবে। আর বন অধিদপ্তরের অনুমোদনের একটি ব্যাপার আছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পাদ কর্মকর্তা কনিকা সরকার বলেন, “যদি ভ্যাকসিন না দেওয়া হয় তবে কাউকে কামড় দিলে সেখান থেকে জলাতঙ্কের রোগ ছড়ানোর শঙ্কা থাকে।