লাইফ স্টাইল

যে ৫ খাবার জরুরি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে

যে ৫ খাবার জরুরি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে

ডায়াবেটিস একটি ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্য সমস্যা যা বিশ্বজুড়ে মানুষের ওপর প্রভাব ফেলে আসছে। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে গ্লুকোজ বা চিনির মাত্রা অত্যধিক বেড়ে যায়। ফলে কিডনি জটিলতাসহ স্ট্রোকের মতো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী এই রোগের জটিলতা তুলে ধরতে প্রতি বছর ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হয়।

আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগী হন এবং সুস্থ জীবনযাপন করতে চান, তাহলে খাবারের তালিকায় নিম্নের খাবারগুলো রাখতে পারেন।

টকজাতীয় ফল

কমলা ও লেবুর মতো টক জাতীয় ফল সতেজতা ও টক স্বাদের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের মতে, টকজাতীয় ফলে পটাসিয়াম ও ফোলেটসহ স্বাস্থ্যকর ফাইবার থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

দই

দই বিশেষ ভারতীয় উপমহাদেশের পরিবারগুলো নানা ব্যবহার করে থাকে। তা চাটনি হোক অথবা ঠাণ্ডা এক গ্লাস লাচ্ছি (ঘোল)। আপনার যদি ডায়াবেটিস থেকে থাকে তাহলে খাদ্য তালিকায় নিশ্চিত করতে পারেন দই। স্বাভাবিকভাবেই তালিকাভুক্ত দই চিনি ছাড়া হতে হবে।

হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ (এইচএসপিএইচ) গবেষকদের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, দই খাওয়ার ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস পেতে পারে। এ ছাড়াও দই ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি খাবার, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে।

চিয়া বীজ

চিয়া বীজকে উচ্চ পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে চিয়া বীজ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করতে পারে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার রয়েছে। যা টাইপ–২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত জটিলতাগুলো কমাতে সাহায্য করতে পারে।

মিশ্র বাদাম

আপনাকে নিয়মিত কিছু মিশ্র বাদাম যেমন আমন্ড ও কাজু বাদাম খেতে হবে। এই খাবারগুলো ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও কম গ্লাইসেমিক সূচক সমৃদ্ধ। এ ছাড়াও বাদামের গুণাগুণ ডায়াবেটিক প্রদাহ, রক্তে শর্করা ও এলডিএল (কোলেস্টেরল) মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। সুতরাং, প্রতিদিন প্রায় ৩০ গ্রাম বাদাম (এক মুঠো) খাওয়া উচিত।

গোটা শস্যদানা

আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগী হন, তবে আপনার খাদ্যতালিকায় বার্লি ও ওটসের মতো গোটা শস্য অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করতে হবে। এটা সত্য যে এই খাবারগুলো যথেষ্ট ফাইবার সমৃদ্ধ, তাই হজম হতে বেশ কিছু সময় নেয়। যা রক্তে শর্করার বৃদ্ধিকে সীমাবদ্ধ করে। তাছাড়া গোটা শস্যদানা ভিটামিন বি, আয়রন ও খনিজ সমৃদ্ধ, যা খাদ্য তালিকাকে করবে সমৃদ্ধ।

এই খাদ্য উপাদানগুলো এবং স্বাস্থ্যকর এক জীবনধারা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।