সারা দেশ

বাবা হত্যার ২৫ বছর পর বিচার পেলেন ছেলে

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ৯৮ সালে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের শহীদ উল্লাহ হত্যা মামলায় আসামী চার জনের মৃত্যুদন্ডসহ একনারীর যাবজ্জীবন রায় দেয় আদালত। সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন।

রায় ঘোষণা কালে আসামিরা আদালতের এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-ইউসুফ, রনি আমীন, সোলায়মান, আবদুল হক ও রজ্জবী বিবির যাবজ্জীবন। দন্ডপ্রাপ্ত সকলের বাড়ি বরুড়ার পরানপুর গ্রামে।

কুমিল্লা বারের সিনিয়র এডভোকেট মোঃ মাসুদ সালাউদ্দিন ও নিহতের ছেলে এডভোকেট মোঃ আবু নাসের জানান- জায়গা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ১৯৯৮ সালের ২১ মে দিনের বেলায় আসামিদের সঙ্গে ফার্ণিচার ব্যবসায়ি মোঃ শহীদ উল্লাহ’র কথা-কাটাকাটি, তর্কবির্তক ও হাতাহাতি হয়।

এ ঘটনার জের ধরে ওইদিন দিবাগত-রাত সাড়ে ৮টার দিকে আসামিরা পরানপুর বাজারের পশ্চিম পাশে বিরোধীয় জমিতে ডেকে নিয়ে আসামিদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্রদ্বারা শহীদ উল্লাহকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। হসপিটালে নেওয়ার পথে পথিমধ্যে মৃত্যু বরণ করেন।

পরে নিহতের ভাই আমান উল্লাহ বাদী হয়ে বরুড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২০জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পর্যালোচনাক্রমে আসামী কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার পরানপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে ইউছুব, বনি আমীন, ইউছুবের ভাতিজা সোলায়মান, আসামি ইউছুবের শ্যালক ও মৃত আঃ মতিন এর ছেলে আঃ হকসহ চারজনের মৃত্যুদন্ড ও মহিলা বিবেচনায় আসামি ইউসুফ এর বড় বোন রজ্জবী বিবিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

এদিকে, বাবা হত্যাকারীদের বিচারের উদ্দ্যেশে আইনজীবী হয়ে লড়াই করে ২৫ বছর পর বিচার পেলেন। বাবাকে খুন করার সময় পঞ্চম শ্রেণিতে লেখাপড়া করতেন। সেই ছেলে নিজেই আইনজীবী হয়ে বাবার খুনের সেই মামলায় লড়ে ২৫ বছর পর বিচার নিশ্চিত করেছেন।

রাষ্টপক্ষের কৌশলী আইনজীবী এপিপি মোঃ নুরুল ইসলাম এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। আসামিপক্ষের এডভোকেট আঃ মমিন ফেরদৌস বলেন, এ রায়ের কপি হাতে পেলে আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে আপীল করবেন।

আরও খবর

Sponsered content