24 October 2023 , 3:41:04 প্রিন্ট সংস্করণ
ঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুন থেকে রক্ষায় মেঘনা উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরে ২৮৫ স্থায়ী ও অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে ৬৪টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া জরুরি প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোলরুম ও হটলাইন নাম্বার চালু করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুরাইয়া জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।ডিসি জানান, হামুন মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলার উপকূল তীরবর্তী ৪টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা কাজ করছেন। ইতিমধ্যে স্থায়ী ১৮৫টি ও অস্থায়ী ১০০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ৩২৮০ জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ৪৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কোস্টগার্ডের রেসকিউ বোর্ড ও ৬৪টি মেডিকেল টিম গঠন ও স্বপ্নযাত্রা অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখাসহ পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও নগদ টাকা মজুদ রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠান ও এতিমদের জন্য ৪১৫ টন চালও রয়েছে। প্রয়োজনে বরাদ্দকৃত চালও বিতরণ করা যাবে। স্বপ্নযাত্রার ১৭টি অ্যাম্বুলেন্সসহ সরকারি-বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া জরুরি প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ে হটলাইন নাম্বার চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. আহমেদ কবির, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা-ই রাফিন সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মেহের নিগার, সাজিয়া পারভীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ছিদ্দিক, জেলা ত্রাণ পুর্নবাসন কর্মকর্তা ইউনুছ মিয়া প্রমুখ।
এদিকে হামুনের প্রভাবে সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। নদীতীরের বাসিন্দারা অনেকটাই স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে দেখা গেছে।