28 May 2024 , 12:37:48 প্রিন্ট সংস্করণ
গোপালপুরে চার বছরের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মেয়েকে বিষপান করিয়ে হত্যার পর বাবা-মা আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। ওই দম্পতি এখন পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ভোরে পৌরশহরের থানাব্রিজ সংলগ্ন হেমনগর রোডে হারুন অর রশিদের বাসায় এ ঘটনা ঘটে। তারা ওই বাসার চারতলায় ভাড়া থাকতেন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে।
জানা যায়, নগদাশিমলা ইউনিয়নের জামতৈল গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে মাশরুল হোসাইন ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। গত ২৮ এপ্রিল সাড়ে ৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। পরে এই টাকার জন্য অফিস তাকে চাপপ্রয়োগ শুরু করে।
আর্থিক অনটন ও অফিসের চাপে মাশরুল হতাশ হয়ে পড়েন। রোববার রাতে মাশরুল ও তার স্ত্রী মিরা আফরোজ সিদ্ধান্ত নেন যে, তারা পরিবারের সবাই আত্মহত্যা করবেন। পরে মাশরুল শতাধিক ঘুমের বড়ি ও বিষ কিনে আনেন। এরপর তরল বিষের সঙ্গে ঘুমের বড়ি মিশিয়ে মেয়েকে পান করায়। বিষপানে মেয়েটি ছটফট করতে থাকলে বাবা বালিশচাপা দিয়ে মেয়েকে হত্যা করেন।
পরে স্বামী-স্ত্রী মিলে ওই বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান।সোমবার ভোরে তার নানি দরজায় এসে ডাকাডাকি শুরু করেন। দরজা না খোলায় নানি বাসার সবাইকে ডেকে এনে ডাকচিৎকার করেও দরজা খুলতে না পেরে পুলিশে খবর দেন।ওসি এমদাদুল হক তৈয়ব জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর ঘুমের বড়ি ও বিষসহ মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠায়।
আহতাবস্থায় স্বামী-স্ত্রী দুজনকে হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করান। তারা এখন শঙ্কামুক্ত। এ বিষয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা ও একটি আত্মহত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।