সারা দেশ

একাধিক পরকীয়ায় কাল হলো লায়লার

একাধিক পরকীয়ায় কাল হলো লায়লার

মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে একটি ক্ললেস হত্যাকাণ্ড ঘটনার ৩ দিনের মাথায় জানা গেলো একাধিক পরকিয়ার বলি দৌলতপুরের লায়লা বেগম (৪০)। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ক্লুলেস হত্যার রহস্য উন্মোচনসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে।পরকীয়া সম্পর্ক থাকার পরও অন্যদের সঙ্গে দেহ ব্যবসার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রেমিকা লায়লা বেগমকে অন্যদের সহযোগিতায় ধর্ষণের পর হত্যা করে আসামি দেলোয়ার হোসেন।

মামলার তদন্তকারী পিবিআই-এর উপপুলিশ পরিদর্শক মো. নাহিদ হাসান রোববার সন্ধ্যায় জানান, মামলার আসামী মো. দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে লায়লা বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এর পরও ওই নারী একাধিক পুরুষের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। আসামি দেলোয়ার হোসেন ওই নারীকে সংশোধন করার জন্য প্রেমিকা লায়লাকে সংসারের প্রায় সব কিছু বহন করত।

এছাড়া ওই নারীকে সেলাই মেশিন ও নগদ ৫০ হাজার টাকাও দিয়েছিল। কিন্তু ওই নারী ভালো না হয়ে অন্যদের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপ অব্যাহত ছিল। এতে আসামি দেলোয়ার হোসেন ক্ষুব্ধ হয়ে গত ৯ মে রাতে দৌলতপুর উপজেলা নারচি গ্রামে একটি ফসলের মাঠে সহযোগিদের নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ফেলে রাখে।এদিকে পরে দিন ১০ মে নিহতের ল্শা সনাক্ত করেন তার স্বামী সিকান্দার আলী। এই ঘটনায় ওই দিনই দৌলতপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে মামলা করেন সিকান্দার আলী।

এর পর থেকে পিবিআই ছায়া তদন্ত শুরু করেন। ছায়া তদন্তে পিবিআই মানিকগঞ্জ টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন, স্থানীয় লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ নিহতের স্বামী মো. সিকান্দার আলীর গতিবিধি বিবেচনায় নিয়ে তদন্তকার্য অব্যাহত রাখে। পরে আসামী মো. দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিহত লায়লা বেগম (৪০) এর হত্যাকাণ্ডের সহিত আটককৃত দুইজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।

এরা হলেন প্রেমিক মো. দেলোয়ার হোসেন ও আসামি আব্দুর রাজ্জাক। এদেরকে ১১ মে গ্রেফতার করা হয়। আসামি দেলোয়ার হোসেন ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে রোববার আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

আরও খবর

Sponsered content