সারা দেশ

আবারও সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা ৫৮ রোহিঙ্গা উদ্ধার

কক্সবাজারের টেকনাফের সমুদ্র উপকূল থেকে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতিকালে ৫৮ রোহিঙ্গা নারী পুরুষকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় পাচারকারী চক্রের প্রধান ইয়াছিনসহ ৪ সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে টেকনাফ থানা পুলিশ। প্রাথমিকভাবে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

এরমধ্যে বেশিরভাগ নারী-শিশু। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দরগারছড়ার মেরিন ড্রাইভের সমুদ্রসৈকত এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।উদ্ধার হওয়া মোহাম্মদ সৈয়দ বলেন, তিন শিশুসন্তানসহ সাগরপথে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে ক্যাম্প ত্যাগ করি। দালালকে ৪০ হাজার টাকা দিয়েছি।

বাকি দুই লাখ টাকা মালয়েশিয়ার গিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দালালরা টেকনাফের পাহাড়ে পাঁচ দিন আটকে রাখে আমাদের। অবশেষে যাত্রাপথে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে দালালদের কাছে পাহাড়ে আরও অনেক রোহিঙ্গা জিম্মি রয়েছে। তাদেরও পাচার করা হবে।শনিবার বেলা ১২ টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি।

তিনি জানান, অবৈধভাবে সাগরপথে রোহিঙ্গাদের মালয়েশিয়ায় পাচার করা হচ্ছে খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় মেরিন ড্রাইভের সমুদ্রসৈকত এলাকা থেকে ৫৭ রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শীর্ষ দালাল ইয়াছিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ওসি বলেন, গ্রেফতার ইয়াছিনের বিরুদ্ধে মানবপাচারসহ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য দালালদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে প্রত্যেককে স্ব-স্ব শিবিরে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ওসি ওসমান গণি।