খেলাধুলা

এবার আইপিএলে মোস্তাফিজের সেরা মৌসুম কোনটি

এবার আইপিএলে মোস্তাফিজের সেরা মৌসুম কোনটি

বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজুর রহমান আইপিএলের শেষ ম্যাচ খেলেছেন গতরাতে। আইপিএলে নিজের ৭ম আসর চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে প্রথমবারের মতো খেলেছেন। আসরের মাঝপথে দল ছাড়ার আগে নামের পাশে ১৪ উইকেট। একজন বোলারের উইকেটটাই যেহেতু সবার প্রথমে হিসাবে আসে, তাই মোস্তাফিজের এবারের আসরের চেয়ে ২০১৬ সালের অভিষিক্ত আসরকেই এগিয়ে রাখছেন সবাই।

সেবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে শিরোপা জেতানোর পথে মোস্তাফিজ শিকার করেছিলেন ১৭ উইকেট। কিন্তু উইকেট বেশি বলেই কি ২০১৬ মোস্তাফিজের সেরা আইপিএল? মোটেও না। ২০২৪ সালেই মোস্তাফিজ আইপিএলে নিজের সেরা সময়টা কাটিয়েছেন।বল হাতে সফল আর দলের তুরুপের তাস— এই দুই দিক মিল আছে মোস্তাফিজের ২০১৬ আর ২০২৪ আইপিএলের। তবে ২০১৬ সালে ১৭ উইকেট শিকার করার জন্য তাকে খেলতে হয়েছে ১৬ ম্যাচ, বল করতে হয়েছে ৬১ ওভার।

২০২৪-এ মোস্তাফিজ ৩৪.২ ওভার বল করেই শিকার করেছেন ১৪ উইকেট। ২০২৪-এ মোস্তাফিজ কতটা বেশি ধারালো, তা স্পষ্ট হবে স্ট্রাইক রেট ও গড়ের দিকে নজর দিলে।হায়দরাবাদের হয়ে মোস্তাফিজের গড় ছিল ২৪.৭৬, এবার যা ২২.৭১। অর্থাৎ এবার প্রতি ২২.৭১ রান খরচায় একটি করে উইকেট শিকার করেছেন মোস্তাফিজ। যদিও ২০১৬ সালে ইকোনোমি রেট ছিল সাতেরও কম, এবার যা ৯.২৬।

তবে স্ট্রাইক রেট ২০১৬ সালে ছিল ২১.৫২, যা এবার মাত্র ১৪.৭১। অর্থাৎ প্রতি ১৫ বলেরও কম বল করার বিনিময়ে একটি করে উইকেট ঝুলিতে ভরেছেন মোস্তাফিজ।সেরা বোলিং ফিগারের দিক থেকেও ২০১৬-র চেয়ে এগিয়ে ২০২৪-এর পারফরম্যান্স। সেবার মোস্তাফিজের সেরা বোলিং ফিগার ছিল ১৬ রানের খরচায় ৩ উইকেট, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে। এবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে ২৯ রানের খরচায় শিকার করেন ৪ উইকেট।

আরও একদিক থেকে ২০২৪ আইপিএল এগিয়ে মোস্তাফিজের কাছে। আর তা হলো পার্পল ক্যাপ। এই আসরে দুবার পার্পল ক্যাপের মালিক হয়েছেন তিনি, ৩ বার হয়েছেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। এমনকি আসরে নিজের বিদায়ী ম্যাচে কোনো উইকেট না পাওয়া সত্ত্বেও তিনি যৌথভাবে সর্বোচ্চ ১৪ উইকেটের মালিক।একটা বিষয় বিশেষভাবে লক্ষণীয়। হায়দরাবাদের হয়ে নিজের অভিষেক আসরের পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বার একাদশে নিয়মিত দেখা গেছে বাংলাদেশি এই পেসারকে। ২০১৬ সালে মোস্তাফিজ খেলেছিলেন ১৬ ম্যাচ।

২০২১ সালে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলেন ১৪ ম্যাচ। সেবার ১৪ উইকেট শিকার করলেও গড় বা স্ট্রাইক রেটের দিক থেকে ততটা উজ্জ্বল ছিলেন না। এবার জাতীয় দলের জন্য আইপিএল ছাড়ার আগে যে ৯ ম্যাচ খেলেছেন মোস্তাফিজ, তাতে স্পষ্টভাবেই অতীতের যে কোনো আসরের তুলনায় নিজের সেরা সময়টাই কাটিয়েছেন এ তারকা পেসার।