খেলাধুলা

আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে বর্ষসেরা গোলরক্ষক মার্তিনেস

কাতার বিশ্বকাপে একের পর এক ম্যাচে অসাধারণ নৈপুণ্যে দেখিয়ে, দেশের তৃতীয় বিশ্বকাপ জয়ের অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষক হয়েছিলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। মূলত সেই অসাধারণ পারফরম্যান্সের সৌজন্যে এবার বর্ষসেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতলেন এই আর্জেন্টাইন।

প্যারিসে সোমবার (৩০ অক্টোবর) রাতে জমকালো ব্যালন দ’র অনুষ্ঠানে মার্তিনেসের হাতে সেরা গোলরক্ষকের স্বীকৃতি ‘ইয়াশিন ট্রফি’ তুলে দেন তার বাবা। ২০২০ সাল থেকে ইংলিশ ক্লাব অ্যাস্টন ভিলায় খেলছেন মার্তিনেস। প্রিমিয়ার লিগের দলটিতে নিয়মিত দারুণ সব সেভ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। তবে, মূলত মার্তিনেস নিজেকে নতুন করে চেনান কাতারে। আর্জেন্টিনার পোস্টে পুরো টুর্নামেন্টেই তার পারফরম্যান্স ছিল অবিশ্বাস্য।

বিশেষ করে, ফাইনালে। ইয়াশিন ট্রফিটি তার হাতে তুলে দেওয়ার সময়ই যেমন স্ক্রিনে দেখানো হচ্ছিল অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ওই ম্যাচের ১২০তম মিনিটে তার অসাধারণ একটি সেভ। এরপর টাইব্রেকারে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা।বর্ষসেরা তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার কোপা ট্রফি জিতেছেন জুড বেলিংহ্যাম।

কেবল ১৬ বছর বয়সে বার্মিংহ্যাম সিটির মূল দলে অভিষেকের পর অল্প কদিনেই ক্লাবটির মাঝমাঠের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠেন বেলিংহ্যাম। পরের বছর বরুশিয়া ডর্টমুন্ডে যোগ দিয়ে সেখানেও খুব দ্রুত নিজেকে মানিয়ে নেন তিনি। আলো ছড়িয়ে নজর কাড়েন ফুটবল বিশ্বের।গত জুনে রেয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর থেকে যেন নতুন রূপে ধরা দিয়েছেন বেলিংহ্যাম। শুধু মাঝমাঠে নয়, আক্রমণভাগেও হয়ে উঠেছেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের একজন। দলটির জার্সিতে ১৩ ম্যাচ খেলে করে ফেলেছেন ১৩ গোল।

ক্যারিয়ারের শুরু থেকে অবিশ্বাস্য ধরাবাহিকতায় এগিয়ে চলার পথে এবার ব্যালন দ’রের মঞ্চে জিতলেন দারুণ এই স্বীকৃতি, কোপা ট্রফি।২০১৮ সাল থেকে পুরস্কারটি দেওয়া শুরু করে ‘ফ্রান্স ফুটবল’ ম্যাগাজিন। প্রথমবার পুরস্কারটি জেতেন কিলিয়ান এমবাপে। পরের বছর মাটাইস ডি লিখট।

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ২০২০ সালে ব্যালন দ’রের কোনো পুরস্কারই দেয়নি ফ্রান্স ফুটবল। এরপর ২০২১ সালে পেদ্রি এবং গতবছর তার বার্সেলোনা সতীর্থ গাভি পুরস্কারটি পান।দীর্ঘদিন ধরে ব্রাজিলের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জীবন্নোয়নে কাজ করছে ভিনিসিউস জুনিয়রের ফাউন্ডেশন। এজন্য রেয়াল মাদ্রিদ ও ব্রাজিলের তারকা এই ফরোয়ার্ড পেয়েছেন সক্রেতিস অ্যাওয়ার্ড।