সারা দেশ

সন্তান জন্ম নেওয়ার ৩ মাস পর বিয়ে

গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের প্রলোভনে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে আতাউর রহমান (৩০) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এরপর মাসের পর মাস পেরুলে ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়।

তারপর বিয়ের চাপ দিলে নানা টালবাহনা করতে থাকে ওই যুবক। নানা নাটকটিরতার পর অবশেষে ছেলে সন্তান জন্মের ৩ মাস পর ওই তরুণীর বিয়ে হলো আতাউরের সঙ্গে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দরবস্ত ইউনিয়নের ৮ নং ইউপি সদস্য মো. সাদ্দাম খন্দকার জসিম বিডি২৪লাইভ’কে বলেন, আমি শুনেছি ওই যুবক এবং তরুণী বিবাহ করেছেন।

তবে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হন নি তিনি।এদিকে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার পর রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে ওই দম্পতিকে দেখতে লোকজনের ভিড় দেখা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, ওই ইউনিয়নে বাবার বাড়িতে তরুণী অবস্থানকালে ছোট দুর্গাপুর গ্রামের খাজা মিয়ার ছেলে আতাউর রহমান তাকে কুপ্রস্তাব দেওয়াসহ নানাভাবে উত্যাক্ত করে আসছিল।

একপর্যায়ে গত বছরের ২৫ জুলাই বাড়িতে কেউ না থাকার সুয়োগে রাত ১১টার দিকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় আতাউরকে বিয়ের চাপ দিতে থাকে।

সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তাকে বিয়ে করবে বলে জানায় আতাউর। কিন্তু সন্তান হওয়ার পরও ধর্ষক আতাউর বিয়ে না করে টালবাহানা ও হুমকি-ধামকি দিতে থাকে।

এমন পরিস্থিতিতে মেয়েটি গত ১১ জুলাই আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। মামলার পর গাইবান্ধা পিবিআই বিষয়টি তদন্ত শুরু করলে আতাউর মামলার মিমাংসার প্রস্তাবসহ মেয়েকে বিয়ে করে সন্তানকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানায়।

এরই প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে বেশ আনন্দঘন পরিবেশে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। আর বিয়ের আসরে মেয়েটির কোলে ছিল সেই সন্তানও।

সাখাওয়াত হোসেন হারেজ নামের এক স্থানীয় ব্যক্তি জানান, তরুণী গরীব পরিবারের মেয়ে। তার মামলার নিস্পত্তি হওয়ায় আমিসহ এলাকার সবাই খুশি। নতুন দম্পতি যেন সন্তানসহ সুখে-শান্তিতে থাকে এ কামনায় করি।