14 December 2024 , 12:01:47 প্রিন্ট সংস্করণ
চলতি বছর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ কার্যক্রম পরিচালনায় ৯৪২টি এজেন্সি সাত ধাপে শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) অনুমোদন পাওয়া ১টি হজ এজেন্সির নাম ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটে করেছে। এই নিয়ে সাত ধাপে মোট ৯৪২টি এজেন্সি হজ কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি পেলো।
এর আগে চলতি বছরের ২৯ আগস্ট ১৩৬টি, ১৯ সেপ্টেম্বর ৬২৯টি, ২৫ সেপ্টেম্বর ১২৬টি, ৫ নভেম্বর ৩৬টি, ২০ নভেম্বর ১০টি, ১১ ডিসেম্বর ৪টি এজেন্সি অনুমোদন পায়।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া কোনো হজ এজেন্সি ২০২৫ সনের হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
যেসব এজেন্সির লাইসেন্স হালনাগাদ নেই, লাইসেন্সের মেয়াদ সেপ্টেম্বর, ২০২৪-এর মধ্যে অতিবাহিত হয়েছে, ঠিকানায় ভিন্নতা রয়েছে, অভিযোগে দন্ডপ্রাপ্ত, সৌদি আরবে কালো তালিকাভুক্ত এবং অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য প্রক্রিয়াধীন- সেসব এজেন্সি এখনো হজ কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন পায়নি।
২০২৪ সালের হজ কার্যক্রমে মোট ২৫৯টি হজ এজেন্সি অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ২৩৪টি ছিলো লিড হজ এজেন্সি। যদিও ১ হাজার ৫৩৩টি হজ এজেন্সিকে অনুমোদন দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়।
অনুমোদিত হজ এজেন্সিগুলোকে হজে প্রেরণের জন্য প্রত্যেক হজযাত্রীর সঙ্গে এজেন্সির লিখিত চুক্তি সম্পাদন নিশ্চিত করতে হবে, এজেন্সিগুলো ২০২৫ সনে সৌদি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক হজযাত্রী প্রেরণ করতে পারবে, এসব এজেন্সি নির্ধারিত সংখ্যক হজ গাইড নিয়োগ করে হজ সিস্টেমে আপলোড করবে, অনিবন্ধিত কোনো ব্যক্তিকে হজযাত্রী হিসেবে হজে নিতে পারবে না।
মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তালিকা প্রকাশের পর কোনো এজেন্সির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের কারণে দন্ডিত হলে কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিত সংশ্লিষ্ট এজেন্সির নাম তালিকা থেকে বাতিল করা হবে, এজেন্সিগুলো হালনাগাদ হজ লাইসেন্স, ট্রাভেল লাইসেন্স এবং ট্রেড লাইসেন্স ও হালনাগাদ আয়কর সনদ দাখিলপূর্বক হজ অফিসের সঙ্গে চুক্তি করবে। স্বত্বাধিকারী/অংশীদার/পরিচালকদের মধ্য হতে এজেন্সির মোনাজ্জেম নির্ধারণ করতে হবে।
প্রকাশিত তালিকার কোনো এজেন্সি হজ ২০২৫ মৌসুমে যৌক্তিক কারণ ছাড়া হজযাত্রীর নিবন্ধন না করলে সেই এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবার ৯৪২টি এজেন্সি অনুমোদন পেলেও সব এজেন্সি হজ ব্যবস্থাপনায় অংশ নেয় না।
জানা গেছে, সরকার কর্তৃক লাইসেন্সপ্রাপ্ত হজ এজেন্সির সংখ্যা ১৫৪৯টি। অন্যদিকে হজ এজেন্সির মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সদস্যভুক্ত এজেন্সির সংখ্যা ১১৭৩।
হজ এজেন্সির সংখ্যা নিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বার্তা২৪.কমকে জানান, প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তান ও মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের কোনো দেশে এতো বিপুল সংখ্যক হজ এজেন্সি হজযাত্রী পরিবহন করে না। অধিকাংশ দেশ সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার শর্তে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী পরিবহন করে থাকে। বাংলাদেশেই একমাত্র দেশ যেখানে হজ ব্যবস্থাপনায় এত বিপুল সংখ্যক এজেন্সি ব্যবসা করছে।
জানা গেছে, সৌদি সরকারের সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী যেসব হজ এজেন্সি কমপক্ষে ২৫০ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে তাদেরকেই গতবারের ন্যায় এবার হাজি নেওয়ার অনুমতি দেবে।
তবে হাবের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ সরদার ও সাবেক মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ১০০ জন হাজি পরিবহনে সক্ষম এজেন্সিগুলোকে হজযাত্রী পরিবহনের অনুমতি প্রদানে সৌদি সরকারের সঙ্গে আলোচনার অনুরোধ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১ জুন পবিত্র হজ পালিত হওয়ার কথা। ২০২৫ সালের হজে বাংলাদেশ ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা পেয়েছে। আগামী ১৩ জানুয়ারি সৌদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের হজ চুক্তি সম্পন্ন হবে।