কৃষি বার্তা

কুমারখালীতে ফল মেলার নামে তামাশা!

একটি স্টল, তাতে ১০/১২ প্রকারে কয়েকটি ফল। অপোক্ত কাঁচা ফলগুলো খাওয়ার অনুপোযোগী। মেলায় দর্শক বলতে কৃষি অফিসের ১০/১৫ জন কর্মকর্তা কর্মচারী। স্টলে খুঁজেও পাওয়া গেল না একজন চাষী বা নার্সারি মালিককে। ডেকোরেশন কমতি নেই। গেট, ব্যানার, বাউন্ডার তৈরী হলেও স্টল মাত্র দুটি। একটি স্টল ফলশুন্য, সেখানে আড্ডায় ব্যস্ত আয়োজকেরা।
তিন দিনের মেলার এমন দৃশ্য চোখে পড়লো ২৪ জুন সোমবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে। সাংবাদিক দেখেই যেন হোঁচট খেলেন কৃষি অফিসার। বললেন, বাজেট নেই। চাষীদের আহ্বান করা হয়নি সে জন্য। তবে পাশেই অফিসার্স ক্লাবের ভেতরে প্লেটে বাহারি ফলের সমারোহ। তাহলে এগুলো কী সৌজন্য বা ফ্রি পাওয়া? এমন প্রশ্ন আরো কয়েকজন সংবাদকর্মীর।
বিকেলে বিল ভাউচারে হয় তো বৈধতা আনতে অগত্যা উদ্বোধন করলেন ইউএনও এসএম মিকাইল ইসলাম। উপজেলা কৃষি অফিস আয়োজিত তিন দিনের মেলার তিন ঘন্টার স্থায়িত্ব নিয়েও রয়েছে শংসয়। মেলার নামে এমন তামাশা কুমারখালীতে আর কোনদিন হয়নি এমনটিই প্রমানিত।