সারা দেশ

অবশেষে ত্রাণের অপেক্ষায় বানভাসিরা

কেউ বুক পানিতে, কেউ বা হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন একটু সাহায্যের আশায়। বানের তোড়ে জীবনের ঝুঁকিতে থাকা ঘরহারা বন্যার্তদের চোখে মুখে নিদারুণ আকুতি, শঙ্কা আর অজানা আতঙ্ক। হেলিকপ্টারে দুগর্ম এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করছে বিমান বাহিনী।

ত্রাণের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ। দৃষ্টিসীমা যতদূর যায় তত দূরই বিস্তৃত ঢলের পানি। গ্রাম, লোকালয়, শহর, হাট-গঞ্জ আলাদা করে বোঝার উপায় নেই। যে বাড়ির উঠান ভর্তি ছিল শিশুর হাসি, পরিবারের কর্মমুখরতা, যে ফসলি মাঠে ছিল কৃষকের সোনাঝরা ফসল সেখানে এখন হানা দিয়েছে থৈ থৈ পানি।

আকাশের ওপর থেকে দেখা যায় নীচে দাঁড়িয়ে সারি সারি অসহায় মুখগুলো। দুঃসহ আতঙ্কে কেউ হয়তো ঘুমায়নি গেল দু’ রাত। কারো ঘর ডুবেছে, কারো বা হারিয়েছে স্বজন। অভুক্ত শিশু নিয়ে কোনো মা হয়তো দাঁড়িয়ে আছেন বুক সমান পানিতে। সবারই অপেক্ষা যদি কেউ আসে। যদি মেলে দুমুঠো খাবার।

থৈ থৈ পানিতে যাওয়ার জায়গাও নেই মানুষের। ফেনীর ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, সোনাগাজী এলাকার সবখানেই থৈ থৈ পানি। ঢলের ঢেউ এসব মানুষের এক জীবনের সঞ্চয় কেড়ে নিয়েছে।বাংলাদেশ বিমানবাহীনির পক্ষ থেকে দুগর্ম স্থানে দুগর্ত বানভাসিদের মাঝে বিভিন্ন স্থানে হেলিকপ্টার থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয় গতকাল শুক্রবার (২৩ আগস্ট)। ত্রাণ পেতে ছুটে আসে দুর্গত মানুষ।

অসহায় মানুষের প্রয়োজনের তুলনায় বিতরণ করা ত্রাণসামগ্রী এখনো অপর্যাপ্ত। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান হেলিকপ্টারে ফেনীর বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসময় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার থেকেও দেওয়া হয় ত্রাণসামগ্রী।

আরও খবর

Sponsered content