12 May 2024 , 3:24:01 প্রিন্ট সংস্করণ
টুথব্রাশ জীবাণুমুক্ত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখনকার সময় বেশিরভাগ বাড়িতে বাথরুমের মধ্যেই টুথব্রাশ সাজিয়ে রাখা হয়। কিন্তু বাথরুমে টুথব্রাশ রাখা কতটা স্বাস্থ্যকর, সেটি আমরা অনেকেই খেয়াল রাখি না। এমনকি শরীরের সুস্থতার ক্ষেত্রে টুথব্রাশ জীবাণুমুক্ত রাখাটাও যে জরুরি, তা-ও মনে করি না। বিভিন্ন রোগের জীবাণুতে পূর্ণ থাকে বাথরুম। টুথব্রাশ বাথরুমে রাখার কারণে লাখ লাখ জীবাণু টুথব্রাশে জমে থাকে।
আর এই জীবাণুগুলো ব্রাশের মাধ্যমে সরাসরি আপনার মুখে চলে যায়। এবং তা থেকে হতে মারাত্মক ক্ষতি। তাই জেনে নিন টুথব্রাশ ব্যবহারে কীভাবে সতর্ক থাকতে হবে।অনেককেই দেখা যায় দাঁত মাজার পর টুথব্রাশ বাথরুমের বেসিনের ওপরে রেখে দেন। যা থেকে আপনার স্বাস্থ্যের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। এমনটাই বলছেন চিকিৎসকেরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাথরুমে টুথব্রাশ না রাখাই ভালো, কারণ তাতে ব্যাকটিরিয়া এবং ছত্রাক বাসা বাঁধে। বাথরুম এমনিতে ভিজে থাকে সারাক্ষণ। বাড়ির অন্য ঘরের তুলনায় তাপমাত্রাও হয় বেশি। তাই বাথরুমে টুথব্রাশ রাখলে তার ওপরে ব্যাকটিরিয়া জন্মায়।বিশেষজ্ঞরা আরও জানান বাথরুমের পরিবেশ থাকে স্যাতস্যাতে ও উষ্ণ।
সহজে খুঁজে পাওয়ার জন্য সেখানে টুথব্রাশ রাখা হলেও এর মেঝেতে থাকে ব্যাকটেরিয়া ও বিভিন্ন জীবাণু। এর কারণে সেখানকার পরিবেশে এসব জীবাণু দ্রুত জন্ম নিতে পারে।আর এগুলো বাথরুমের বাতাসে ছড়িয়ে যেতে পারে সহজেই। সেই জীবাণুর কণা পরে গিয়ে ব্রাশে লাগে। সেই ব্রাশ ব্যবহার করলে মুখের বিভিন্ন রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
হতে পারে পেটের অসুখও।আপনার টুথব্রাশ যদি টয়লেট সিটের কাছাকাছি থাকে, তাহলে আপনার ব্রাশটি বায়ুবাহিত কণার সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা বেশি, যা দূষণের কারণ হতে পারে। বাথরুমের পরিবেশ আর্দ্র হওয়ার কারণে টুথব্রাশে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।কমন অর্থাত্ আপনার বাথরুম যদি আরও অনেকে ব্যবহার করে তবে দূষণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। একাধিক লোকের সংস্পর্শে এসে জীবাণুর আক্রমণ বেড়ে যায়।
তাহলে কীভাবে যত্ন করবেন আপনার দাঁতের এই অমূল্য সঙ্গীর জেনে নিন-
ব্যবহার করার আগে টুথব্রাশটি জলে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এটি টুথব্রাশে লেগে থাকা দূষিত পদার্থগুলোকে অপসারণ করতে সাহায্য করবে।
ব্যবহার করার পরে টুথব্রাশটি ব্রাশ হোল্ডারে রাখুন, যাতে এটি বাতাসে শুকিয়ে যায়।
একাধিক টুথব্রাশের জন্য আলাদা পকেট আছে এমন পাত্রে রাখা ভালো, যাতে একে অপরের সংস্পর্শে না আসতে পারে। বাতাসে শুকানোর পর টুথব্রাশ একটি কভার দিয়ে আটকে রাখলে বায়ুবাহিত জীবাণু থেকে রক্ষা করা যায়।
টুথব্রাশ বাথরুমের বাইরে ঘরের কোনো নিরাপদ স্থানে রাখাই সবচেয়ে ভালো। নিয়মিত টুথব্রাশ পরিবর্তন করুন। প্রতি ৩-৪ মাস পরপর পরিবর্তন করতে পারলে ভালো। পুরোনো টুথব্রাশ ব্যবহার করা স্বাস্থ্যকর নয় একেবারেই।
ফ্লাশ করার আগে টয়লেটের ঢাকনা বন্ধ করা একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস, যা বাথরুমে বায়ুবাহিত জীবাণুর বিস্তার কমাতে সাহায্য করে। তাই টয়লেট ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে।