9 May 2024 , 12:54:17 প্রিন্ট সংস্করণ
দিনাজপুর সদরে বাণিজ্যিকভাবে কুকুরের খামার দিয়েছেন জাহিদ ইসলাম সোহাগ নামে একজন যুবক। বিদেশি বিভিন্ন জাতের কুকুর পালন করে করে সাফল্য পেয়েছেন তিনি। সেই খামার থেকে কুকুর বিক্রি করে মাসে আয় করছেন লাখ টাকারও বেশি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রেতারা কুকুর সংগ্রহ করছেন তার খামার থেকে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দিনাজপুর শহর থেকে দুই কিলেমিটার উত্তরে চেহেলগাজী ইউনিয়নের উত্তর নয়নপুর এলাকায় ‘ডগ হাউজ’ নামে এ কুকুরের খামার। খামারে রয়েছে বিভিন্ন জাতের কুকুর। সোহাগের কুকুরের খামার দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন ছুটে আসে অনেক মানুষ। কুকুরগুলো বেশ প্রভুভক্ত। খামারের শ্রমিকদের সঙ্গে বেশ ভাব এদের।
তাদের নির্দেশ মতো খেলা করছে, ছোটাছুটি করছে।জাহিদুল ইসলাম সোহাগ গণমাধ্যমকে বলেন, বছরখানেক আগে শখের বশে সোহাগ প্রথমে একটি ও পরে দুটি বিদেশি কুকুর নিয়ে শুরু করি। প্রথমে তিনটি ও পরে সাতটি বাচ্চার মাধ্যমে ভাগ্য খুলে যায়। পরে অনলাইনের মাধ্যমে শুরু করি কুকুর বিক্রি।
খামারে আমেরিকান লাসা, টয় কোরিয়ান, জাপানি লাসা, চায়না লাসা, জার্মান শেপার্ড, ব্লাক শেপার্ড, উল্ফ, এলসেশিয়ান, গোল্ডেন রিটাইভারসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৬৫টি কুকুর রয়েছে।তিনি আরও বলেন, প্রকারভেদে এসব কুকুর ৩০,০০০-১,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি। বাণিজ্যিকভাবে কুকুর বিক্রিতে প্রতিবছর ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা আয় হয়।
স্থানীয় যুবক রনি নামে একজন গণমাধ্যমকে জানান, কুকুরগুলো বেশ প্রভুভক্ত। সোহাগ ভাই এবং তার লোকজন যা বলে কুকুরগুলো তাই শুনে। চুপ থাকতে বললে কুকুরগুলো মাথা নিচু করে বসে বা শুয়ে পড়ে। কোনো লাফালাফি করে না।দিনাজপুর সদর জেলা ভেটেরিনারি অফিসার ড. আশিকা আকবর তৃষা গণমাধ্যমকে বলেন, সতর্কতা ও সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে খামারটি পরিচালিত হলে খামারি বেশ লাভবান হবেন।
নিয়মিত ভ্যাকসিন করা, কৃমিনাশক ওষুধ দেওয়া, রুটিন চেকআপ করাতে হবে।তিনি আরও বলেন, কোনোভাবেই যেন রোগজীবাণু না ছড়ায় সেদিকে বেশি নজর দিতে হবে। খামারে হিংস্র কুকুরও রয়েছে তাই সতর্ক থাকতে হবে সবসময়।