সারা দেশ

ড্রাইভিং লাইসেন্সে জন্মতারিখ সংশোধনের দাবীতে চুয়াডাঙ্গায় পেশাদার চালকদের মানববন্ধন

পেশাদার গাড়ি চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্সে ভুল হওয়া জন্মতারিখ সংশোধন ও স্মার্টকার্ড প্রাপ্তিতে সিথিলতা প্রদানের দাবীতে চুয়াডাঙ্গায় মানববন্ধন করেছেন পেশাদার গাড়ি চালকরা। শনিবার (২৫ নভেম্বর ২৩) সকাল ১০টায় শহরের শহীদ হাসান চত্বরে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর ও মাগুরা জেলার শতাধিক ভুক্তভোগী গাড়িচালক এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কয়েক বছর ধরে স্থানীয় বিআরটিএ কার্যালয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের আবেদন ফাইল পড়ে আছে।

এসব আবেদনপত্রের কোন সুরাহা হচ্ছে না। ইতিমধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ সংশোধনের দাবী তুলে গত তিনমাসে আরো দু’বার মানববন্ধন করা হয়। একজন পেশাদার চালক ৪/৫ বার নবায়ন করে স্মার্ট কার্ড পাওয়ার পরও বর্তমানে জন্ম তারিখ ভুলের কারণে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর নবায়ন করতে পারছেন না। ৪৭৭ নং স্মারকে ২০০১ সালে জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন হয়েছিল। ওই প্রজ্ঞাপনের পর জানামতে ২০১৬ সালে জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য আরো একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়।

বর্তমান প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ভলিউমে সঠিক তথ্য থাকা চালকদের জন্ম তারিখ সংশোধন পূর্বক নবায়নের সুযোগ এবং নন-স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এ সিথিলতা করে দ্রুত স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করার ব্যবস্থা করা একান্ত প্রয়োজন। এই প্রজ্ঞাপনের আওতায় যেসব ভলিউমে জন্ম তারিখ সংশোধন করা হয়েছে এ সকল নবায়নের লাইসেন্সগুলো পূর্বের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দ্রুত নবায়নের সুযোগ দিয়ে স্মার্ট কার্ড প্রদান করতে হবে। পূর্বে ২০ বছরের উর্দ্ধে পেশাদার ডাইভিং লাইসেন্স দেয়া হতো।

বর্তমানে ২০২১ সালের দিকে এক প্রজ্ঞাপনে ২১ বছরের উর্দ্ধে পেশাদার ডাইভিং লাইসেন্স দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। পূর্বে যারা ২০ বছর বয়সের উর্দ্ধে লাইসেন্স পেয়েছেন তারা বর্তমানে নবায়ন করতে এসে ২০২১ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ২১ বছরের সীমায় অর্থাৎ দেড় বছরের বয়স সীমায় আটকে যাচ্ছন।তারা আরো বলেন, অনেক চালকের শ্রেণি সংযোজন, শ্রেণি পরিবর্তন, নথিভুক্ত কার্যক্রম এর কয়েক বৎসরের মধ্যে এখনও পর্যন্ত জটিলতা নিরসন হয়নি।

অনেক চালকের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার পরও জন্ম তারিখের জটিলতার কারণে তারা লাইসেন্স পাচ্ছেন না। প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। তাদের জীবন যাতে বিপন্ন না হয় সেই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী দেখবেন বলে আন্দোলনকারী চালকদের বিশ্বাস। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন, পেশাগত দিক বিবেচনা এবং চালকদের পরিবার-পরিজনের মুখের দিকে তাকিয়ে মানবতা ও সহানুতির সাথে বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।

এসময় মানববন্ধনে শ্রমিক নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা বাস মিনিবাস মাইক্রোকার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিপন মন্ডল, আন্তজেলা ট্রাক ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মামুন অর রশিদ মামুন,শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম, মিল্টু জোয়র্দ্দার প্রমুখ।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা ট্রাক ট্যাংকলরী ট্র্যাক্টর কার্ভাড ভ্যান দাহ্য পদার্থ বহনকারি ব্যাতিত শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ রফিক, প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক আজগার উদ্দিন মুন্না, প্রমুখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলার বাস মিসিবাসের চালকবৃন্দরা।

আরও খবর

Sponsered content