সারা দেশ

নির্দেশের পরও সেন্টমার্টিন ছাড়েননি দেড় শতাধিক পর্যটক

ঘূর্ণিঝড় হামুনের এগিয়ে আসার খবরে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন পর্যটকদের সেন্টমার্টিন ছাড়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু এরপরও দ্বীপে থেকে গেছেন দেড় শতাধিক পর্যটক। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী।

এর আগে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় সেন্টমার্টিনের জেটি ঘাট থেকে পর্যটকদের নিয়ে তিনটি জাহাজ টেকনাফের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। তবে ওই সব পর্যটক ওই জাহাজে আসেননি।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা পেয়ে মাইকিং করেছি। এ সময় পর্যটকদের দ্বীপ ছাড়তে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও দেড় শতাধিক পর্যটক সেন্ট মার্টিনে রয়ে গেছেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বা সতর্কসংকেত প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ পথে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

তাই, পর্যটকদের সেন্ট মার্টিন থেকে সোমবার জাহাজে করে টেকনাফে ফিরতে বলা হয়েছিল। যদি কেউ নির্দেশনা অমান্য করে দ্বীপে অবস্থান করেন, তাহলে সেটি তাদের নিজস্ব ব্যাপার।

টেকনাফ আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৬ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

%d bloggers like this: