সারা দেশ

আবারও ১৪ ইঞ্চি উচ্চতার ছাগলের দেখা মিলল

ঠাকুরগাঁওয়ে দেখা মিলেছে মাত্র ১৪ ইঞ্চি উচ্চতার ছাগল। সদর উপজেলার ভুল্লি থানার ছোট বালিয়া ইউনিয়নে ১৪ ইঞ্চির এই ছাগলটির দেখা মেলে। খামার মালিকের দাবি ২ বছর ৪ মাস বয়সের এই ছাগলটি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট আকৃতির ছাগল।ইতোমধ্যে তিনি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখানোর জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। ছাগলটি দেখার জন্য এলাকায় ভিড় করছে অনেকেই।

এসএস এগ্রো ফার্মের মালিক ফজলে এলাহী সাকিবের দাবি বেন্থাম প্রজাতির যে ছাগল রয়েছে, তার মধ্যে তার খামারের ছাগলটিই সবচেয়ে ছোট আকৃতির। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ৩ মাস আগে আমি ভারত থেকে এক জোড়া ছাগল এনেছি। এই দুটি ছাগলের নাম রাখি, রাজা ও রাণী। এই ছাগলগুলো সাধারণত দেশী ছাগলের মতো নয়। ছাগলগুলো যদি আপনি দেখেন তাহলে দেখবেন যে এদের কান ও মাথা সম্পূর্ণ আলাদা।

আমি এখন পর্যন্ত যতটুকু জানি আমার এই ছাগলটি পৃথিবীর সব থেকে ছোট ছাগল। ছাগলগুলো সাধারণত ঘরে লালন-পালন করা হয়ে থাকে। এই ছাগলগুলো জন্মগতভাবে ছোট আকৃতির হয়। যারা শখ করে পালন করতে চান তারা এগুলো ক্রয় করেন। এই ছাগলগুলো দেখতে খুব ছোট ও সুন্দর হয়।তিনি আরও বলেন, আমার কাছে যে দুটি ছাগল রয়েছে একটি পুরুষ ছাগল আরেকটি মাদী ছাগল।

দুটি দেখতে সাদা রঙের ও শান্ত স্বভাবের। এদেরকে স্বাভাবিক ছাগলের খাবার দিলেই হয়। ইতোমধ্যে আমি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখানোর জন্য আবেদন করেছি। আমি মনে করি এই ছাগলটি পৃথিবীর সব থেকে ছোট ছাগল। দেশী জাতের মধ্যে ছোট থাকতে পারে কিন্তু বেন্থাম জাতের মধ্যে এত ছোট দেখা যায় না। ইতোমধ্যেই এই ছাগলটি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মেলায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ছোট ছাগলটি দেখতে আসা কালাম গণমাধ্যমকে বলেন, এই জাতের ছাগলের মধ্যে এটাই সবচেয়ে ছোট ছাগল বলে দাবি করছেন এই খামারের মালিক। তাই আমরা ছাগলটি দেখতে এসেছি। সত্যিই ছাগলটি আকারে অনেক ছোট। আমার কাছে মনে হয়েছে এই জাতের ছাগল এটিই সবথেকে ছোট আকৃতির।

এই বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা. হেমন্ত কুমার রায় গণমাধ্যমকে বলেন, এই ছাগল যে পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ছাগল সেটার প্রমাণ এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে নেই। তবে ছাগলটি আসলেই স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক ছোট আকৃতির। ইতোমধ্যেই আমি অনলাইনে এই প্রজাতির ছাগল খুঁজেছি।

এখন পর্যন্ত আমার চোখে এর থেকে ছোট আকৃতির ছাগল পড়েনি। এই জাতের ছাগলের মধ্যে এটি সবচাইতে ছোট ছাগল বলে আমার ধারণা। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের প্রমাণ আমাদের কাছে নেই। ছাগল মালিক গ্রিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখানোর জন্য আবেদন করেছে, দেখা যাক কী হয়।

%d bloggers like this: