25 March 2024 , 4:35:46 প্রিন্ট সংস্করণ
প্রকাশ্যে ইউপি সদস্যকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। গত শনিবার সকালে উপজেলার দলগ্রাম বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে রোববার (২৪ মার্চ) কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই ইউপি সদস্য।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দলগ্রাম ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের টিসিবির পণ্য দেয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। ওইদিন দলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য ওয়ারেস আলীকে কার্ড বিহীন তার এক কর্মীকে টিসিবির পণ্য দিতে বলেন। এসময় ইউপি সদস্য ওয়ারেস আলী চেয়ারম্যানকে বলেন আগে কার্ড ধারীদের পণ্য দিয়ে দেই পরে তাকে দেয়া হবে।
এতে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে সদস্যকে গালমন্দ ও লাঞ্ছিত করেন এবং পরিষদে আসলে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।পরে শনিবার সকালে ওয়ারেস আলী ইউনিয়ন পরিষদে গেলে প্রকাশ্যে তাকে পেটান চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন তার সহযোগীরা। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনদের মাঝে তুমুল আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে ।
ভিডিওতে দেখা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন ও সহযোগীরা ওই সদস্যের গলা চেপে ধরে তাকে আঘাত করছেন পাশাপাশি তাকে গালাগাল করছেন। স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে চেয়ারম্যান সেখানে থাকা চেয়ার দিয়ে ওই ইউপি সদস্যকে আঘাত করতে থাকেন। একপর্যায়ে রাগের বসে সেখানে থাকা কোদাল দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করেন।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য ওয়ারেস আলী বলেন, আমি চেয়ারম্যানের কথা মত কার্ড বিহীন তার কর্মীকে মালামাল না দেয়ায় তিনি আমার সাথে খারাপ আচরণ করেন এবং আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। পরে শনিবার আমি পরিষদে আসলে চেয়ারম্যান ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা আমাকে প্রকাশ্যে মারধর করে। আমি এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ডিসি মহোদয়ের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি চেয়ারম্যান হিসেবে একজনকে একটি পণ্য দিতে বলেছি কিন্তু মেম্বার আমার কথা না শুনে আমার সাথে ঝগড়া লিপ্ত হয়েছেন।
ওয়ারেস আলীকে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। অন্যান্য মেম্বাররা মিলে সমাধান করা হবে বলেও তিনি জানান।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহির ইমাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।