সারা দেশ

নিজ খরচে বেড়িবাঁধ বানাচ্ছেন গ্রামবাসী সরকারি আবেদনে মিলেনি সাড়া

নিজ খরচে বেড়িবাঁধ বানাচ্ছেন গ্রামবাসী সরকারি আবেদনে মিলেনি সাড়া

ক্রমাগত ভাঙনে গত কয়েক বছরে গ্রামের নদী তীরবর্তী বেশকিছু ঘরবাড়ি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ক্ষেত বিলীন হয়েছে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনেকবার আবেদন করা হলেও কোনো ফল হয়নি।সেজন্য নিরুপায় হয়ে নিজ উদ্যোগ ও নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকায় বেড়িবাঁধ তৈরি করছেন মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার দোরাননগর গ্রামের বাসিন্দারা।

এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।সম্প্রতি শতাধিক গ্রামবাসী মিলে ভাঙন প্রতিরোধে বেড়িবাঁধ তৈরির কাজ শুরু করেন। দোরান নগর গ্রামের বাসিন্দা প্রকৌশলী রথিন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, গ্রামের মধ্যে নদীর পার ভাঙছে অনেকদিন ধরেই। ফসলি জমিও বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বছর পাঁচেক ধরে এই ভাঙন আরো তীব্র হয়েছে।

এ থেকে রক্ষা পেতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে অনেকবার ধরণা দিলেও কোনো কাজ হয়নি। নিরুপায় হয়ে নিজেদেরকেই উদ্যোগ নিতে হয়েছে।স্থানীয় ডাক্তার পঙ্কজ কান্তি মন্ডল বলেন, গত বছর গ্রামবাসীর উদ্যোগে ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বাঁশ, কাঠ দিয়ে ৮টি বেড়িবাধ নির্মাণ করা হয়েছিল। এবার বাঁধটি আরো মজবুত করতে নতুন করে ইট, বালু, রড দিয়ে কংক্রিট ঢালাইয়ের পিলার যুক্ত করা হচ্ছে।

এতে এবার অন্তত ১৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে যার অর্থায়নে রয়েছে গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ।এ বিষয়ে মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সারওয়ার জাহান সুজন বলেন, দুরান নগর এলাকায় ভাঙনের খবর আমাদের জানা নেই। সরেজমিনে ওই এলাকা পরিদর্শন করার পর সেখানে ভাঙনের তীব্রতা থাকলে আগামী বর্ষার আগেই বেড়িবাঁধ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মমতাজ মহল বলেন, সমাজে যারা স্বেচ্ছাশ্রমের বিনিময়ে উন্নয়নমূলক কাজে এগিয়ে আসে তাদের সাধুবাদ জানাই। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে।