বিনোদন

রাজনীতি করলে অভিনয় ছাড়তে হবে আমি সেটা পারব না বললেন ঋতুপর্ণা

রাজনীতি করলে অভিনয় ছাড়তে হবে আমি সেটা পারব না বললেন ঋতুপর্ণা

পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা। এর আগে বহুবার বাংলাদেশেএসেছিলেন সিনেমার শুটিংয়ের জন্য। কিন্তু এবার তিনি এসেছেন মহানায়িকা ‘সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব’-এর জন্য। গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসার পর উৎসব, সিনেমাসহ নানা বিষয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গ…

ভালো দিকটাই উল্লেখ করতে চাই। কারণ, ঈশ্বরের আশীর্বাদে এমন একটা জীবন পেয়েছি, যেখানে অনেক দিক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ পেয়েছি। মিলিয়ে-মিশিয়ে বললাম কারণ বিগত কয়েক মাসে আমাকে প্রচণ্ড ঘুরতে হচ্ছে।মুম্বাই, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, বাংলাদেশ– অনেকগুলো ছবির কাজ চলছে।

এই যে দিনরাত ছুটে বেড়াচ্ছেন, কখনও ক্লান্ত লাগে না?

[হাসি] এখন অভ্যাস হয়ে গেছে। দেখুন, আমরা তো সহজে কিছু পাইনি। প্রচণ্ড পরিশ্রম করে আজকে এই জায়গায় এসেছি। ইন্ডাস্ট্রিতে প্রযোজকরা এখনকার মতো এতটা ‘করপোরেট’ ছিলেন না। এখনকার মতো এত পারিশ্রমিকও ছিল না। এসি ফ্লোর ছিল না, মেকআপ ভ্যান তো দূরের কথা। সিনেমা মুক্তি পেলে শুক্রবারের কাগজে একটা বিজ্ঞাপন আর রাস্তায় কিছু পোস্টার–তাই টিকে থাকার গুরুত্বটা বুঝি।

এখনও সাফল্যের জন্যপরিশ্রমেই বিশ্বাস রাখেন?

অবশ্যই। এখনও পরিশ্রম করছি, ভবিষ্যতেও করব। দেখুন, আমার জীবনে যেমন প্রাপ্তি প্রচুর, পাশাপাশি অনেক প্রতিবন্ধকতাও এসেছে। প্রচুর স্বার্থত্যাগ করেছি শুধু সিনেমাকে ভালোবেসে। সাফল্য যদি পরিশ্রমের মাধ্যমে আসে, তাহলে তার স্বাদটা কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হয়।

এবারে ভিন্ন প্রসঙ্গ, বাংলাদেশে এবার এলেন মহানায়িকার কারণে… আয়োজনটি নিয়ে বলবেন?

মহানায়িকা সুচিত্রা সেন বাংলা সিনেমার প্রতিটি অভিনয়শিল্পীর জন্য অনুপ্রেরণা। তাঁকে নিয়ে নিউইয়র্কে আগামী এপ্রিলে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব’। ওই উৎসবের স্মারক উন্মোচন করা হলো ঢাকায়।

স্মারক উন্মোচন আয়োজনে আপনার বন্ধু নায়ক ফেরদৌস রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে বললেন…

রাজনীতি নিয়ে খুব একটা ভাবিনা। কারণ, এটা আমার সঙ্গে যায় না। আমি একসঙ্গে দুই কাজ করতে পারিনা। রাজনীতি করতে হলে অভিনয় ছাড়তে হবে। আমি সেটা পারব না। অভিনয় নিয়েই থাকতে চাই।

ঢাকায় এলে আপনার সহশিল্পীদের সঙ্গে দেখা হয়?

অবশ্যই হয়। অনেকের বাসায় যাই, অনেকেই আবার আমার সঙ্গেও দেখা করতে আসেন। সবই নির্ভর করে সময়ের ওপর। তবে ঢাকা এলে আলমগীর ভাই, রুনা লায়লা আপার বাসায় যাওয়া হয়। বন্ধু ফেরদৌসের বাসায় তো যেতেই হয়।

আপনার কাজ দর্শক জানেন; কিন্তু ব্যক্তিগত জীবন…

ব্যক্তিজীবনে আমি নিজের মতো থাকতে পছন্দ করি। দুই সন্তানের মা। মেয়েকে সিঙ্গাপুরের একটি স্কুলে ভর্তি করিয়েছি। ওএখন ক্লাস সিক্সে পড়ছে। ছেলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছে।