ভিন্ন স্বাদের খবর

৬ বান্ধবী একসঙ্গে বিসিএস ক্যাডার সত্যিটা জানা গেল

৬ বান্ধবী একসঙ্গে বিসিএস ক্যাডার সত্যিটা জানা গেল

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ৬ তরুণীর ছবি। দাবি করা হচ্ছে, তারা একসঙ্গে ৬ জন বিসিএস ক্যাডার। একজন এডিসি, একজন আইসিটি অফিসার, একজন ইউএনও, দুজন এসি ল্যান্ড, একজন সিনিয়র সহকারী কমিশনার। জানা গেল, এই তথ্যটি আসলে সঠিক নয়। সন্ধ্যায় আফ্রিদি নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে এ বিষয়ে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। যেখানে লেখা হয়েছে, ‘যারা আমার পোস্টটি কপি করতেছেন, আপনাদের দুইটা হাতে ধরে বলি, প্লিজ ডোন্ট ডু দিস, করে থাকলে দয়া করে ডিলিট করে দিন।

ছবিগুলো গত বছরের পয়লা ফাল্গুনে তোলা ছিল, ছবিগুলো তোলার জন্য তারা আমাকে ভালো অঙ্কের পারিশ্রমিকও দিয়েছিল, কিন্তু আমি পোস্ট করার আগে যেহেতু পারমিশন নিইনি, তাই আমি এখন হুমকির মুখে।পোস্টে আরও লেখা হয়েছে, ‘পোস্টটি বাংলাদেশব্যাপী ভাইরাল হয়ে যাবে, এটা আমি ভাবিইনি, আমি গতকাল রাতেই ডিলিট করে দিছি, তারপরও এখন অবধি অনেকে তা পোস্ট করে যাচ্ছেন। আপনি হয়তো পপুলার বা রিচ, রিঅ্যাক্ট পাওয়ার জন্য দিচ্ছেন।

কিন্তু এতে আমার ক্ষতি হচ্ছে…আপনি আমাকে চিনেন না, জানেন না, সম্পূর্ণ অপরিচিত একজন মানুষ আমি, আপনি কি জেনে বুঝে আমার ক্ষতি করবেন? জানি করবেন না; কারণ, আপনি একজন মানবিক ও ভালো মানুষ। তাই বলছি, প্লিজ ডিলিট করে দিন।ছবিতে থাকা অন্তত দুজন নারীর পরিচয় খুঁজে পাওয়া গেছে। যাদের একজন শরীয়তপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শামসুন নাহার এবং আরেকজন নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাছিবা খান।

তাঁদের পরিচয় সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সরকারি ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, শামসুন নাহার বিসিএস ৩১ ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর বর্তমান কর্মস্থলে যোগ দেন।হাছিবা খান বিসিএস ৩৪ ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর বর্তমান কর্মস্থলে যোগ দেন। অর্থাৎ ছবিতে থাকা নারীদের মধ্যে অন্তত দুজন বর্তমানে আলাদা জেলায় কর্মরত এবং তাঁদের বিসিএস ব্যাচও আলাদা।শরীয়তপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শামসুন নাহার বলেন, ‘ছবিগুলো যেসব তথ্য দিয়ে ভাইরাল করা হয়েছে, বিষয়গুলো আসলে তেমন না।

আমরা একেক সময়ে জয়েন করেছি, সিনিয়র, জুনিয়র আছি। ফটোগ্রাফার তো এত কিছু জানে না, হয়তো ভুলে লিখছে।এ বিষয়ে নরসিংদী জেলার মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি এর আগে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় ছিলাম। ওই সময় এসি ল্যান্ড, ইউএনও, ডিসি অফিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারসহ কয়েকজন কলিগ শরীয়তপুর সার্কিট হাউসে ফুলের বাগানে স্মৃতি ধরে রাখার জন্য কিছু ছবি তুলি।

হাছিবা খান বলেন, ‘যে ছেলেটি আমাদের ছবি তুলেছে, সে আমাদের পারমিশন ছাড়াই তার মতো করে লিখে দিল, ছবিগুলোতে আমরা ছয় বান্ধবী, ইত্যাদি। বিষয়টি আসলে তা না। পরে আমি ছেলেটিকে ছবিগুলো ডিলিট করে দিতে বলি এবং সে ডিলিট করে দেয়। আসল কথা, এটা ফেক নিউজ। আমরা কেউ বান্ধবী না, কলিগ। ছবিগুলো তোলা হয়েছিল আমাদের পারসোনাল ছবি হিসেবে।