21 February 2024 , 4:39:23 প্রিন্ট সংস্করণ
যুক্তরাজ্যে প্রায় ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি নিয়ে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বিশেষ এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশি এই রাজনীতিবিদের বিশাল সাম্রাজের ফিরিস্তি তুলে ধরা হয়েছে। এরপরই সৃষ্টি হয়েছে আলোড়ন।
ব্লুমবার্গের এই প্রতিবেদনের বিষয়টি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়েও উঠেছে। সেখানে বলা হয়েছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদের সম্পর্কে যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সে বিষয়ে অবগত।স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
মিলারের কাছে বাংলাদেশের দুর্নীতি, বিশেষ করে সাবেক একজন মন্ত্রীর সম্পদের বিষয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারি। তিনি জানতে চান, ব্লুমবার্গে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। তাতে বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠীর দুর্নীতিতে জড়িত থাকার বিষয়টি ওপেন সিক্রেট বলা হয়েছে।
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, মন্ত্রিপরিষদের সাবেক অন্যতম সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী বৃটেনে ও যুক্তরাষ্ট্রে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই সম্পদের মূল্য ২০ কোটি পাউন্ড, যা বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের শতকরা এক ভাগের সমত্যুল। অনেক ঘটনার মধ্যে এটি হলো মাত্র একটি ঘটনা। বিশ্বব্যাপী সরকারের জবাবদিহিতা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এ বিষয়টিকে কীভাবে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র?
এর জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, ‘এসব রিপোর্টের বিষয়ে আমরা অবহিত। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করি নির্বাচিত সব কর্মকর্তা যেন দেশের আইন ও আর্থিক বিধিবিধান মেনে চলেন তা নিশ্চিত করতে হবে।প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পাঁচ বছর ভূমিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
এবারের নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে পুননির্বাচিত হলেও মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি। তবে সংসদীয় জমি সংক্রান্ত কমিটির সভাপতির পদে আছেন তিনি। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে তার মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো যুক্তরাজ্যে প্রায় ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তির রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে।