জাতীয়

২৯ ডিসেম্বর নয় সেনাবাহিনী নামবে ৩ জানুয়ারি

২৯ ডিসেম্বর নয় সেনাবাহিনী নামবে ৩ জানুয়ারি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে আট দিন সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগে এই বাহিনী ২৯ ডিসেম্বর থেকে মাঠে থাকবে বলে জানানো হয়েছিল।রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুসাইন মুহাম্মাদ মাসীহুর রাহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই কথা বলা হয়।

চিঠির বিষয়টি জানা যায় মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর)।চিঠিতে জানানো হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের নিমিত্তে ইন এইড টু দ্যা সিভিল পাওয়ারের আওতায় সমগ্র বাংলাদেশের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত (যাতায়াত সময়সীমা ব্যতীত) সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগের জন্য আদেশ প্রদান করা হলো।

চিঠিতে আরও বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনীর নিয়োজিত দলসমূহ ফৌজদারি কার্যবিধি ও অন্যান্য আইনি বিধান এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত ইন্সট্রাকশন রিগার্ডিং এইড টু দ্যা সিভিল পাওয়ারের ৭ম ও ১০ম অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হবে। মোতায়েনকৃত সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনী কাজে অ্যাক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের পরামর্শে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী বেসামরিক প্রশাসনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করবে।

এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সভা শেষে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তের কথা জানান সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। পরে সিইসির নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা সেনাবাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সম্মতি নেন। তখন নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১৩ দিন সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে।

এবারের নির্বাচনে সাড়ে সাত লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভোটের মাঠে কাজ করবেন। এর মধ্যে আনসার সদস্য থাকবেন পাঁচ লাখ ১৬ হাজার জন, পুলিশ ও র‍্যাব এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন, কোস্টগার্ড দুই হাজার ৩৫০ জন এবং বিজিবি সদস্য থাকবেন ৪৬ হাজার ৮৭৬ জন।

২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় ৩৮৯টি উপজেলায় মোট ৪১৪টি সেনা প্লাটুন মোতায়েন করা হয়েছিল। প্রত্যেক প্লাটুনে ৩০ জন সদস্য থাকেন। এছাড়া ওই সময় ১৮টি উপজেলায় ৪৮টি নৌবাহিনীর প্লাটুন মোতায়েন করা হয়।