6 February 2024 , 3:47:28 প্রিন্ট সংস্করণ
দুশ্চিন্তা এসে ভর করতে সময় লাগে না। এমনকী আলাদা কোনো সময়েরও প্রয়োজন হয় না। নানা কাজের মাঝেও সে এসে উপস্থিত হতে পারে। যেকোনো বিষয় নিয়ে একবার দুশ্চিন্তা ভর করলে তা দূর করা কঠিন হয়ে যায়। তার প্রভাব পড়ে পুরো জীবনযাপনেও। তখন আর কোনোকিছু ভালোলাগে না, কাজে অলসতা লাগে, কারও সঙ্গে কথা বলতেও ইচ্ছা করে না। কিন্তু দুশ্চিন্তাও কখনো কোনো সুফল বয়ে আনে না। তাই এ থেকে মুক্তি পেতে চেষ্টা করতে হবে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক দুশ্চিন্তা দূর করার কিছু জাদুকরী উপায়-
১. নিঃশ্বাসের ব্যায়াম করুন
হয়তো আপনি কাজে অনেক ব্যস্ত, কিন্তু তারই ফাঁকে কিছুক্ষণ ব্যায়াম করুন। অন্তত মিনিট দশেক সময় নিন। এই সময়ে গভীরভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। চোখ বন্ধ রাখুন। যে বিষয় নিয়ে আপনি দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তা দীর্ঘস্থায়ী নয়। পৃথিবীর কোনো সুখ কিংবা দুঃখই দীর্ঘস্থায়ী হয় না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেককিছুই বদলে যায়। নিজেকে এই কথাগুলো বলুন। দেখবেন, দুশ্চিন্তা অনেকটাই হালকা হয়ে গেছে।
২.মানসিক স্বাস্থ্যের
যদিও আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়, কিন্তু এতে প্রভাব ফেলতে পারে আমাদের খাদ্যতালিকাও। খাবার কেবল শরীর নয়, আমাদের মনেও প্রভাব রাখতে পারে। তাই শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে সঠিক উপায়ে। একটি স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকা আপনাকে অনেক ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে। খাবারের তালিকা থেকে ভাজাপোড়া, ফাস্ট ফুড, প্রসেসড ফুড জাতীয় খাবার বাদ দিন। এতে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
৩. শরীরচর্চা করুন
নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস আপনাকে অনেকভাবে উপকারিতা দেবে। শারীরিক ও মানসিক নানা সমস্যা থেকে দূরে থাকতে হলে আপনাকে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন শরীরচর্চা করার ফলে ডোপামিন ক্ষরণ হয় যা মন ভালো রাখে। তাই দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে চাইলে এই অভ্যাস ধরে রাখতে হবে।
৪. খনিজ লবণ খান
খনিজ লবণের রয়েছে অনেক উপকারিতা। খনিজ লবণ আমাদের শরীরের অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিগুলিকে ত্বরান্তিত করতে সাহায্য করে। তাই মন প্রফুল্ল ও চনমনে রাখার জন্য আপনার খাবারের তালিকায় মাঝে মাঝে খনিজ লবণ যোগ করতে পারেন। তবে তা খেতে হবে পরিমিত।
৫. সারাক্ষণ ঘরে থাকবেন না
কেবল বাসা কিংবা অফিসেই দিনের পুরোটা সময় কাটাবেন না। অল্প হলেও বাইরে বের হোন। বিশেষ করে সকাল বা সন্ধ্যায় প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকার চেষ্টা করুন। এই দুই সময়ে সূর্যরশ্মি শরীর ও মনকে সতেজ করে। ফলে কমে যায় মানসিক চাপ, দূর হয় দুশ্চিন্তা।