13 January 2024 , 5:36:18 প্রিন্ট সংস্করণ
চার হাজার বছর ধরে চাষ করা হচ্ছে বাঁধাকপি। শীতের অন্যতম সবজি এটি। নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই সবজি। চীন, মধ্য ও পশ্চিম ইউরোপ আর মেসোপটেমিয়ায় বাঁধাকপি চাষের ইতিহাস আছে।শীতের এই সবজি খাওয়া যায় কাঁচা, রান্না করে ও শুকিয়ে রেখে।
বাঁধাকপির পুষ্টিগুণ নির্ভর করে কোন পদ্ধতিতে খাওয়া হচ্ছে, তার ওপর।পুষ্টিবিদরা বলেন, এক কাপ আধা সেদ্ধ বাঁধাকপি থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন সির তিন ভাগের এক ভাগ পাওয়া যায়। বাঁধাকপিতে আছে ফাইবার। আরও আছে ফোলেট, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন এ ও কে উপাদান।
বাঁধাকপি খেলে বদহজম, পেটফাঁপা, অম্বল, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য, আলসারসহ নানা ধরনের রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামনি কে থাকায় হাড়ের ক্ষয়রোধ করে এবং হাড় মজবুত করে। ভিটামিন, মিনারেলস, অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ বাঁধাকপি মানব দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ক্যারোটিনয়েডস প্রচুর পরিমাণে থাকার ফলে চোখ ভালো থাকে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
এই সবজি ওজন কমাতে সহায়তা দেয়। ভিটামিন ও ফাইটো নিউট্রিয়্যান্টস সমৃদ্ধ বাঁধাকপি মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর সুস্থতা ধরে রাখে।তবে এত গুণ থাকার পরেও বাঁধাকপি নিয়ে কিছু বিধিনিষেধ আছে। গাউট আর্থ্রাইটিস, হাইপো থাইরয়েডের মতো শারীরিক সমস্যায় বাঁধাকপি না খাওয়াই ভালো। অ্যালার্জির সমস্যা থাকলেও বাঁধাকপি থেকে সতর্ক থাকবেন।
অতিরিক্ত বাঁধাকপি খেলে গ্যাস ও বদহজমের মতো সমস্যা হতে পারে। তাই রান্নার সময় একটু ভাপিয়ে নিয়ে পানি ফেলে দেবেন।উইকেন্ডডটকমের তথ্য, বাঁধাকপি বেশি পরিমাণে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে। একজন মানুষ প্রতিদিন ১০০০ থেকে ১৫০০ গ্রাম পরিমাণে বাঁধাকপি খেতে পারেন।