11 January 2024 , 5:55:11 প্রিন্ট সংস্করণ
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বুধবার সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। আগের দিন তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠক শেষে তেল আবিবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গাজায় যুদ্ধে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে শিশুদের নিহত হওয়ার হার অনেক বেশি।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের সমর্থন জুগিয়ে যাবে। তবে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে আটকে পড়াদের সুরক্ষার জন্য আরও বেশি পদক্ষেপ নিতে হবে ইসরায়েলকে।এদিকে, গাজা যুদ্ধ ওই অঞ্চলে বিশেষ করে লেবাননে ছড়িয়ে পড়ার আশাঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেখানে যুদ্ধ চলাকালেই ইসরায়েলের হামলায় লেবানন এবং সিরিয়ায় হামাস ও হিজবুল্লাহর একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এ পরিস্থিতিতে নতুন করে মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু করেছেন ব্লিনকেন। গত ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটি তার চতুর্থ মধ্যপ্রাচ্য সফর।আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকে ব্লিনকেন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে নিজেদের সংস্কার এবং শাসন ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করার বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেই জানিয়েছে ব্লিনকেন।
ওয়াশিংটন চাইছে, গাজা যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গাজার শাসনভার গ্রহণ করুক। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ অধিকৃত পশ্চিম তীরের অল্প কয়েকটি অঞ্চল শাসন করে। সেখানে বেশিরভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণই ইসরায়েলের হাতে। দেশটি ১৯৬৭ সাল থেকে পশ্চিম তীর দখল করে রেখেছে।ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ এই আশায় রয়েছে যে, একদিন গাজা এবং পশ্চিম তীর মিলে একটি ফিলিস্তিনি সরকার গঠিত হবে।
ব্লিনকেন ইসরায়েল যাওয়ার আগে ওয়াশিংটনের মিত্র কয়েকটি আরব দেশে সফর করছেন। ওই সফরের বিষয়ে এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে রাজি আছে। তবে সেটা শুধু মাত্র তখনই সম্ভব হবে যখন একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ‘বাস্তব পথরেখা’ তৈরি হবে।
নেতানিয়াহু এবং তার মন্ত্রিসভা ওয়াশিংটনের এই প্রস্তাবে কিভাবে সাড়া দিয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি ব্লিনকেন। তবে বলেন, “আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠার যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হলে ইসরায়েলকে কঠিন সিদ্ধান্ত, কঠিন পছন্দ বেছে নিতে হবে।
“চরমপন্থি বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতার বিচার না করা, বসতি বিস্তার, ধ্বংস, উচ্ছেদ; এ সবই ইসরায়েলের জন্য দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা অর্জনকে কঠিন করে তুলবে, সহজ নয়।