আন্তর্জাতিক

ভারতের মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি

ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য মণিপুরে অবশেষে জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে সম্প্রতি পদত্যাগ করেন বিজেপি শাসিত মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহ। ৯ ফেব্রুয়ারি ইস্তফা দেন বীরেন। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের চার দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সহিংসতা কবলিত মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হল।

জানা গেছে, রাজ্য বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ার পর কেন্দ্র এই পদক্ষেপ নিয়েছে। দলীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই বীরেন ইস্তফা দেন।

জানা গেছে, দিল্লির বিজেপি নেতৃত্বই বীরেনকে ইস্তফা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর তিন দিন পেরিয়ে গেলেও বীরেনের উত্তরসূরী নিয়ে ঐক্যমত্য তৈরি হয়নি। দলের অন্দরে শঙ্কা ছিল, নতুন করে কাউকে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করা হলে শাসকজোটের সব বিধায়ক সঙ্গে থাকবে না। এমন আশঙ্কার মধ্যে শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি শাসন জারির আশঙ্কা ছিল। তার মধ্যে বিরোধী কংগ্রেস ও নাগরিক সমাজের তরফেও রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার জোরালো দাবি উঠছিল। এমন অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই রাষ্ট্রপতি শাসন কার্যকর করল কেন্দ্র।

রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার ফলে রাজ্যের শাসন ক্ষমতা পুরোপুরি কেন্দ্রের উপর ন্যাস্ত হবে। সেক্ষেত্রে সহিংসতাজনিত পরিস্থিতি মোকাবিলাও কেন্দ্রের পক্ষে সহজ হবে বলেও মনে করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, ‘রাজ্যপালের কাছ থেকে একটি রিপোর্ট পাওয়ার পর এবং অন্যান্য তথ্য বিবেচনা করার পর, এমন একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যেখানে ভারতের সংবিধানের বিধান অনুসারে রাজ্যের সরকার পরিচালনা করা সম্ভব নয়।’

২০২৩ সালের মে মাস থেকে মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে সেখানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চলে আসছে। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, খুন কিছু বাদ যায়নি উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে। সবমিলিয়ে ২৫০-এর বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এখন পর্যন্ত।