বিনোদন

আবারও আদালতে ক্ষমা চাইলেন মাহিয়া মাহি

আবারও আদালতে ক্ষমা চাইলেন মাহিয়া মাহি

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মাহিয়া মাহি। এ উপলক্ষে নির্বাচনি এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি। এতেই আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এরপর নির্বাচন কমিশন তাকে শোকজ করে। লিখিত জবাব দিতে বলা হয় নায়িকাকে। আজ রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে রাজশাহী যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু সাঈদের আদালতে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দেন মাহি।

নায়িকা বলেন, ‘আচরণবিধি সম্পর্কে আমি জানতাম। তবুও একটু কনফিউশন থেকে গিয়েছিল। সেখান থেকে আমার ভুল হয়েছে। আমি যদিও কারও কাছে ভোট চাইনি। আমি তাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছি। দোয়া চাইতে গিয়েছি। এটাও একটা আচারণবিধির মধ্যে পড়ে। আমি এর জন্য আদালতকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ করেছি। তারা আমাকে কঠোরভাবে সর্তক করেছেন।তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন যিনি বর্তমানে এমপি আছেন, তাকেও শোকজ করা হয়েছিল। তারা আসলে সবার জন্য সমান।

মাঠ পর্যায়ের অবস্থান আপাতত খুব ভালো। আপনারা খোঁজ নিলে জানতে পারবেন। বাকিটুকু আল্লাহ ভরসা। এখন পর্যন্ত আমাকে কেউ হুমকি দেয়নি। কেউ নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়াতেও বলেনি। এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু পরিবেশ আছে। আগামীকাল থেকে প্রচারণা শুরু হবে। প্রচারণার পরে সব বোঝা যাবে। মাহি জানান, নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে যাবেন না তিনি। বেঁচে থাকলে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাবেন। তবে প্রার্থি হিসেবে পছন্দের প্রতীক নেই তার।

নির্বাচনে পছন্দের প্রতীকের বিষয়ে মাহি বলেন, ‘পছন্দের কোনো প্রতীক নেই। আগামীকাল (১৮ ডিসেম্বর) প্রতীক বরাদ্দ হবে। তখন ঠিক হবে আমি আসলে কোনো প্রতীকে নির্বাচন করছি। এরপরে প্রচারণা। ইনশাআল্লাহ প্রচারণা তো সেভাবেই করতে হবে। যেহেতু বড় বড় দুটি উপজেলা। প্রচারণা মাঠে গিয়ে আমি কতটুকু সমস্যা ফেস করব, সেটি আপনাদের জানানো হবে। যদি আমার কর্মীরা রিস্ক ফিল করে তাহলে অবশ্যই আপনারা আমাকে সাপোর্ট করবেন। দেশবাসীকে সেটা জানাবেন।

এর আগে রাজশাহী-১ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু সাইদ স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়, প্রতীক বরাদ্দের আগেই মাহিয়া মাহি গোদাগাড়ী উপজেলার চরআষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় জনসমাগম করেন এবং জনগণের কাছে ভোট চান, যা নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম হিসেবে গণ্য হয়।