11 December 2023 , 3:59:51 প্রিন্ট সংস্করণ
কিডনি হরমোন তৈরি করে, ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্ত থেকে বর্জ্য ও অতিরিক্ত তরল ফিল্টার করে। আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কিডনি ভালো থাকা অপরিহার্য। কিডনির স্বাস্থ্য বিভিন্ন অভ্যাস দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। ডিহাইড্রেশন বা পর্যাপ্ত পানি পান না করার অভ্যাস কিডনির কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে। কিডনি রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থকে ফিল্টার করে, ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরের তরল ভারসাম্য রক্ষা করে। কিডনি বিভিন্ন উপায়ে ডিহাইড্রেশন দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। এছাড়াও আরও কিছু অভ্যাস কিডনির ক্ষতি করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. অতিরিক্ত পেইনকিলার খাওয়া
অ্যাসপিরিন এবং আইবুপ্রোফেনের মতো ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধের (NSAIDs) ঘন ঘন এবং অত্যধিক ব্যবহারে কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। কেবল জরুরি ক্ষেত্রে এই ওষুধ গ্রহণ করা যেতে পারে তবে তার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
২. অপর্যাপ্ত হাইড্রেশন
পর্যাপ্ত পানি পান না করার কারণে ডিহাইড্রেশন কিডনিতে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। কিডনির উদ্দেশ্য অনুযায়ী কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত হাইড্রেশন বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পানিশূন্যতার ফলে প্রস্রাবের উৎপাদন কমে যায়। এর ফলে প্রস্রাব আরও ঘনীভূত হয়, যার ফলে কিডনিতে পাথর হতে পারে। ঘনীভূত প্রস্রাবের কারণে মূত্রনালীর সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পারে।
৩. অতিরিক্ত লবণ খাওয়া
প্রচুর পরিমাণে লবণ খাওয়ার অভ্যাস রক্তচাপ বা উচ্চ রক্তচাপ বাড়াতে পারে, যা কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। খাবারে লবণ সীমিত রাখা স্বাস্থ্যকর রক্তচাপ এবং এটি কিডনির কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৪. হাইপারটেনশন এবং ডায়াবেটিসকে উপেক্ষা করা
কিডনির ক্ষতি প্রাথমিকভাবে উচ্চ রক্তচাপের কারণে হয়। নিয়মিত রক্তচাপ পর্যবেক্ষণ এবং ওষুধ বা জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করার ওপর কিডনির স্বাস্থ্য নির্ভর করে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থেকে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করা এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখা সম্ভব।
৫. ধূমপান এবং অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন
অত্যধিক অ্যালকোহল ব্যবহারের ফলে কিডনির কার্যকারিতা বিরূপ হতে পারে। অ্যালকোহল ব্যবহার ত্যাগ করা উচিত। যারা ধূমপান করেন তাদের মধ্যে কিডনি রোগ বেশি হয়। আবার ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা কিডনি রোগের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত ওষুধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করতে পারে।
৬. প্রস্রাব আটকে রাখা
দীর্ঘ সময় প্রস্রাব ধরে রাখার অভ্যাস কিডনি রোগ এবং মূত্রনালীর সংক্রমণকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। প্রস্রাবের চাপ আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রস্রাব করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রস্রাব ধরে রাখার ফলে মূত্রাশয়কে স্বাভাবিক সীমার বাইরে প্রসারিত হতে পারে। এটি শেষ পর্যন্ত মূত্রাশয়ের সংকোচনের ক্ষমতা এবং কার্যকরভাবে প্রস্রাব করার ক্ষমতা নষ্ট করতে পারে। প্রস্রাব ধরে রাখার অভ্যাস কিডনিকে ব্যাক স্ট্রেনের মধ্যে ফেলতে পারে, যা কিডনির কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে।