ভিন্ন স্বাদের খবর

আবারও উপজেলা চত্বরে প্রবেশ করায় ১৭ ঘন্টা মুরগি আটকে রাখলেন ইউএনও

আবারও উপজেলা চত্বরে প্রবেশ করায় ১৭ ঘন্টা মুরগি আটকে রাখলেন ইউএনও

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা পরিষদে মুরগী প্রবেশ করায় কাজের বুয়াকে দিয়ে মুরগি আটকে রাখলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায়। প্রায় ১৭ ঘন্টা আটকে রাখার পর মালিককে অফিসে ডেকে এনে অপমান করে মুরগি ছেড়ে দেবার অভিযোগ এই নির্বাহী কর্মকর্তা বিরুদ্ধে। এমন ঘটনা দুঃখজনক উদ্বর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুনের।

তবে ক্যাম্পাস পরিষ্কার রাখতে এমন উদ্যোগ বলছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার।গেল সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায়। ওই দিন বিকেলে মুরগিটি আটক করা হয় তবে পরেরদিন মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাৎ শেষে মালিককে মুরগি দেওয়া হয়।

মুরগীর মালিক মাকছুদা বলেন, গত সোমবার বিকেলে মুরগী ধরে বেঁধে রাখেন ইউএনও এবং কাজের বুয়াকে দিয়ে মুরগীর মালিককে খুঁজে বেড় করেন আমাকে। এছাড়াও পরেরদিন ইউএনও অফিসে আমাকে দেখা করে মুরগী আনতে বলেন। আমি উপজেলায় গেলে মুরগী কেন পরিষদে আসে, এই বলে নানা কথা বলে অপমান করেন ইউএনও।

উপজেলা চত্বরে যেন ভবিষ্যতে আপনার মুরগী প্রবেশ না করে এবং প্রবেশ করলে ব্যবস্থা নিবো, আমাকে ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেন। একদিন আমার মুরগীটি আটকে রেখেছিলেন এই ইউএনও। আমি সুষ্ঠ বিচার চাই।উপজেলা ইউএনও কার্যালয়ের পিওন লাভলী বেগম বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশে মুরগীটা আটকে রাখা হয়েছিলো। পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

হাকিমপুর উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী বলেন, বর্তমান ইউএনও একজন অদক্ষ্য মানুষ। আমরা বিভিন্ন কাজে তার কাছে গেলে আমরা ভালো ব্যবহার পাইনা। তিনি সামান্য বিষয় নিয়ে রাগ করেন। উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তিনি তেমন সম্মান করেন না। যদি বর্তমান ইউএনও অমিত রায়কে বদলি না করা হয় তাহলে আমরা আসছে ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে নাও যেতে পারি।

জানতে চাইলে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় বলেন, হ্যাঁ আমি মুরগীর মালিককে ডেকেছিলাম, উপজেলা পরিষদের পরিবেশ সুন্দর রাখার জন্যই আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমি তাদের উপজেলা পরিষদে মুরগী প্রবেশের জন্য নিরুৎসাহিত করেছি মাত্র।

এবিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, বিষয়টি ছোট, তবে দুঃখজনক। মুরগীর মালিকসহ মহল্লাবাসী আমার নিকট এসেছিলেন। আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করবো।