লাইফ স্টাইল

যেসব খাবার পরিপাকতন্ত্রের জন্য উপকারী

পরিপাকতন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখতে খাদ্যতালিকায় বৈচিত্র্য আনা ভালো। নানা ধরনের উদ্ভিজ্জ খাবার বেছে নিতে পারেন। ২০১৯ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, উদ্ভিজ্জ খাবারে বিশেষ ধরনের কিছু পুষ্টি উপাদান থাকে, যা আমাদের অন্ত্রে বসবাসকারী উপকারী জীবাণু বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

এসব জীবাণু আমাদের পরিপাকপ্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখার জন্য ভীষণ প্রয়োজনীয়। তা ছাড়া উপকারী জীবাণুর উপস্থিতির কারণে ক্ষতিকর জীবাণু সেখানে জেঁকে বসারও সুযোগ পায় না।

জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু খাবারের নাম, যা পরিপাকতন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখে-

টক দই

টক দই প্রোবায়োটিক। অর্থাৎ এর মধ্যেই রয়েছে আমাদের অন্ত্রের জন্য উপকারী জীবাণু, যা অন্ত্রের ক্ষতিকর প্রদাহ থেকেও রক্ষা করে। তা ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্যও সেরে যায়।

কলা ও অন্যান্য ফলমূল

কলায় আছে ইনুলিন নামের এক বিশেষ উপাদান, যা উপকারী জীবাণুর বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। ফলে ক্ষতিকর জীবাণুর সংক্রমণও কম হয়। আঁশযুক্ত ফলমূলের আঁশ থেকে পুষ্টি পায় অন্ত্রে বসবাসকারী জীবাণু। দিব্যি বেঁচে থাকে। আর নিভৃতেই আমাদের উপকার করে। নিয়মিত কলা ও আঁশযুক্ত অন্যান্য ফল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সাড়ে।

শাকপাতা
শাকপাতায়ও প্রচুর আঁশ থাকে। তাই উপকারী জীবাণুর বৃদ্ধি বজায় রাখতে একইভাবে উপকারে আসে। আঁশ থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীর জন্যও শাকপাতা ভালো খাবার। অন্যান্য উপকার তো রয়েছেই।

অপরিশোধিত বা গোটা শস্যেও (হোল গ্রেইন) থাকে প্রচুর আঁশ। লাল চাল, লাল আটা বা বাদামি পাউরুটি তাই সব দিক থেকেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। অন্যদিকে পরিশোধিত (রিফাইনড) শস্যে আঁশের মাত্রা কম। তাই এসব পরিশোধিত খাবার খেলে এসব উপকার থেকে বঞ্চিত হবেন আপনি।

শিম, কলাই, মটরশুঁটি, মসুর ডাল
এ ধরনের উদ্ভিজ্জ উপাদানে থাকে প্রচুর আঁশ। তাই এ ধরনের খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায়। শিশুরা এসব খাবার খেতে না চাইলে এসব দিয়েই একটু ভিন্ন রকম পদ তৈরি করে দিন। তবু স্বাস্থ্যকর হোক খাদ্যাভ্যাস।

ব্রকলি, কাঠবাদাম ও গ্রিন টিতে থাকে পলিফেনল। এটিও উপকারী জীবাণুদের জন্য ভালো। একই সঙ্গে ক্ষতিকর জীবাণুদের বিরুদ্ধে লড়াইও করে।