5 October 2023 , 4:43:22 প্রিন্ট সংস্করণ
স্বাস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখার জন্য শুধু বাহ্যিক রূপচর্চাই যথেষ্ট নয়; এর সঙ্গে স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল বেছে নেওয়াও জরুরি। এতে কেবল গায়ের রংই উজ্জ্বল হয় না, সেইসঙ্গে ত্বকের ভেতর থেকে সুন্দর রাখে। আমাদের প্রতিদিনের কিছু কাজ আছে, যেগুলো নিয়মিত করলেই স্বাস্থ্যকর ত্বক পাওয়া সহজ হয়ে যায়। তাই নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি মেনে চলতে হবে সেই অভ্যাসগুলো। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
সুষম খাদ্য
সুষম খাদ্য সুস্থ ত্বকের ভিত্তি। ফল, শাকসবজি, দানা শস্য, চর্বিহীন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি জাতীয় খাবার রাখুন আপনার তালিকায়। এগুলো প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে যা আপনার ত্বকের কোষগুলোকে পুষ্ট করে। ফলে ত্বকের রং পরিষ্কার এবং তারুণ্যময় হয়ে ওঠে।
হাইড্রেশন
সঠিক হাইড্রেশন ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পানি টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের কোষগুলোকে তরতাজা করে রাখে। দিনে কমপক্ষে আট গ্লাস পানি পান করুন। শসা, তরমুজ ইত্যাদি ধরনের হাইড্রেটিং খাবার নিয়মিত খান।
নিয়মিত ব্যায়াম
ব্যায়াম রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, যা ত্বকের কোষে অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহ করে এবং বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করে। সেইসঙ্গে এটি স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, যা আপনার ত্বকের স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। ত্বককে সতেজ এবং প্রাণবন্ত রাখতে নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করুন।
সূর্য থেকে সুরক্ষা
অত্যধিক রোদ অকাল বার্ধক্য এবং ত্বকের ক্ষতির একটি প্রধান কারণ। সান প্রোটেকশনকে আপনার ত্বকের যত্নের রুটিনের একটি অংশ করে নিন। কমপক্ষে এসপিএফ ৩০ ব্রড-স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন, প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরুন এবং পিক আওয়ারে (সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা) সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলুন।
সঠিক ঘুম
মানসম্পন্ন ঘুম ত্বকের সুস্থতার জন্য জরুরি। গভীর ঘুমের সময় শরীর কোলাজেন তৈরি করে। কোলাজেন হলো এক ধরনের প্রোটিন যা ত্বকের শক্তি এবং স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে। প্রতি রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান। এতে আপনার ত্বক পুনরুজ্জীবিত করার জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যাবে।
স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট
দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস কর্টিসলের মতো হরমোন নিঃসরণকে বাড়িয়ে দেয়, যা ত্বকের সমস্যা যেমন ব্রণ, একজিমা এবং অকাল বার্ধক্যের কারণ হতে পারে। মেডিটেশন, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, যোগব্যায়াম বা প্রকৃতির মধ্যে সময় কাটানোর মতো ছোট ছোট কাজগুলো বেছে নিন। এগুলো মানসিক চাপ কমানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করে। এর প্রভাব পড়ে আপনার ত্বকেও।
ত্বকের যত্নের রুটিন
সুস্থ ত্বক বজায় রাখার জন্য একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং হালকা ধরনের ত্বকের যত্নের রুটিন বেছে নিন। রূপচর্চার কাজে রাসায়নিকযুক্ত পণ্য এড়িয়ে চলুন এবং আপনার ত্বকের ধরনের জন্য উপযুক্ত পণ্য বেছে নিন। আপনার ত্বক পরিষ্কার, ভারসাম্যপূর্ণ এবং হাইড্রেটেড রাখতে নিয়মিত পরিষ্কার করুন। সেইসঙ্গে এক্সফোলিয়েট, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজিং করুন। ত্বককে সুস্থ রাখার জন্য ঘুমানোর আগে মেকআপ পরিষ্কার করতে ভুলবেন না।