26 April 2025 , 6:24:37 প্রিন্ট সংস্করণ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবিতা পাঠ, আবৃত্তি, গান ও জোরালো উচ্চারণের মধ্যদিয়ে ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা এবং বিশ্বজুড়ে জুলুম, অত্যাচার, নিপীড়ন, সহিংসতা, খুন ও ধর্ষণের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৪ টায় কুমারখালী রেলস্টেশন চত্বরের কড়ইতলায় অভিনব এই প্রতিবাদের আয়োজন করে অনলাইন নিউজ পোর্টাল জুগের হাওয়া ও চ্যানেল সারাদিন। এতে স্থানীয় কবি, সাহিত্যিক, লেখক, গবেষক, সাংবাদিক, শিল্পী, রাজনৈতিক ব্যক্তি, শিক্ষকসহ নানান শ্রেণি পেশার অর্ধশতাধিক মানুষ অংশ নেন। বিকেলে শুরু হওয়া অভিনব এই অন্ষ্ঠুান চলে সন্ধা পর্যন্ত। বিকেলে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কুমারখালী রেলস্টেশনের সামনে বিশাল কড়ই গাছ। তার নিচে খোলামেলা পাতা রয়েছে বেশকিছু প্লাস্টিকের চেয়ার। সেগুলো সামনে উন্মুক্ত মঞ্চ। সেখানে কবি ও সাহিত্যিক লিটন আব্বাসের সঞ্চালনায় এক একে কেউ আবৃতি করছেন ‘ কতো রক্ত হলে শান্ত হয় এই পৃথিবী, কেউ পাঠ করছেন প্যালেস্টাইনের জাতীয়তাবাদী কবি মাহমুদ দরবিশ, কেউবা গাইছেন ফকির লাইন শাহের মানুষ ভোঁজলে সোনার মানুষ হবি।’ এ সময় কবি ও নাট্যকর লিটন আব্বাস বলেন, ‘ আমরা বোঝাতে চাই যে, যেখানে মানবতার ইসফ্লোন, মানবতা যেখানে ভ্রুল-িত হয়। তারই বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে মানুষকে। মানুষ হিসেবে মানুষের প্রথম এবং শেষ কথা হচ্ছে – যেখানেই মানবতার নিপীড়ন, শোষণ, জুলুম নির্যাচন। সেখানেই রুঁখে দাঁড়াতে হবে।’ সময়োপযোগী এমন আয়োজনকে স্বাগতম জানিয়ে বাংলা একাডেমির কবি, সাহিত্যিক ও গবেষক সোহেল আমিন বাবু বলেন, অভিনব এই প্রতিবাদের মাধ্যমে সারা বিশ্বের সকল অন্যায় – অত্যাচার নিপাক যাক। এ ধরণী মানুষসহ সকল জীব ও প্রাণির বসবাসের জন্য নিরাপদ হোক। জানতে চাইলে আয়োজক খাঁন আতাউর রহমান সুজন বলেন, ফিলিস্তিনের গাঁজাসহ বিশ্বজুড়েই বেড়ে চলেছে জুলুম, অত্যাচার, খুন, ধর্ষণ, সহিংসতাসহ সকল অপরাধ। এ সবের বিরুদ্ধে মানুষ যেন কথা বলতে পারেন। তারই একটা প্লাটফরম তৈরির জন্য এ আয়োজন