29 August 2024 , 12:48:16 প্রিন্ট সংস্করণ
স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমা। নাম ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। গত বছরের ১৩ অক্টোবর দেশজুড়ে মুক্তি পায় সেই সিনেমা। ২৭ অক্টোবর মুক্তি পায় ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রে। সিনেমাটি নির্মাণে ব্যয় হয় ৮৩ কোটি টাকা! শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর এই বিপুল অঙ্কের বাজেট নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।
পাশাপাশি চাইলেন হিসাব যে, এত টাকা কোথায় কীভাবে খরচ হলো। তার আরও প্রশ্ন, এত খরচা করে এমন মানহীন সিনেমা কেন বানানো হলো? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বাঁধন বলেন, ‘মুজিব’ নামে যে সিনেমাটি বানানো হয়েছে, আমি সেটার খরচের হিসাব চাই। আমি দেখতে চাই, এত বাজেটের একটা সিনেমা কীভাবে এত খারাপভাবে বানানো যায়! সিনেমাটির নির্মাণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বাঁধন বলেন, ‘কোটি কোটি টাকা বাজেট নিয়ে কী সিনেমাটা বানালো!
সেই টাকাগুলো কোথায় গেল, এই হিসাব আমি দেখতে চাই। আমার খুবই কষ্ট হয়েছে, আমাদের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে বানানো সিনেমা, যা ইচ্ছা তাই একটা বানিয়ে দেওয়া হলো! তবে বাঁধনই প্রথম নয়, এর আগেও ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটির বিপুল বাজেট নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। পাশাপাশি এটির টিজার এবং ট্রেলার নিয়েও হয় নানা সমালোচনা, কটাক্ষ।
২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের পক্ষে তৎকালীন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভেদকর একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। সেই চুক্তি অনুযায়ী, সিনেমার মোট বাজেটের ৬০ শতাংশ দিয়েছে বাংলাদেশ, বাকিটা বাংলাদেশ। ওই হিসাব অনুযায়ী, সিনেমার মোট বাজেটের ৮৩ কোটি টাকার ৫০ কোটি টাকা খরচ করেছে বাংলোদেশ সরকার।
ভারত দিয়েছে বাকি ৩৩ কোটি টাকা। কিন্তু বাজেট হিসেবে সিনেমা একেবারেই মানহীন বলে দাবি আজমেরী হক বাঁধনের। তার দাবি, ‘সিনেমাটি নির্মাণের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে। ‘মুজিব’ সিনেমায় শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ। তিনি পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন মাত্র এক টাকা। একই অঙ্কের পারিশ্রমিক নেন ফজিলাতুন নেছা মুজিবের চরিত্রের অভিনয় করা নুসরাত ইমরোজ তিশাও।
অর্থাৎ, প্রধান দুটি চরিত্রে যারা অভিনয় করেছেন, তারা কোনো পারিশ্রমিকই নেননি। তারপরও সিনেমাটি বানাতে কেন এত খরচ হলো, সেটাই প্রশ্ন বাঁধনের। এই সিনেমার অন্যান্য চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেছেন নুসরাত ফারিয়া, রিয়াজ আহমেদ, দিলারা জামান, চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, জায়েদ খান, খায়রুল আলম সবুজ, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গাজী রাকায়েত, তৌকীর আহমেদ, মিশা সওদাগরসহ শতাধিক শিল্পী।