আন্তর্জাতিক

উত্তর কোরিয়ার রূপ নিচ্ছে ভারতের পার্লামেন্ট

উত্তর কোরিয়ার রূপ নিচ্ছে ভারতের পার্লামেন্ট

ভারতের পার্লামেন্টকে উত্তর কোরিয়ার আদলে একটি পার্লামেন্টে রুপ দেয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা কীর্তি চিদাম্বরণ। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার মত প্রধানমন্ত্রী হেঁটে যাওয়ার সময় এখনও করতালি দেয়ার বিধান চালু হয়নি, আর এটিকে আমরা খুব মিস করছি।এদিকে ভারতের পার্লামেন্টের চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ে কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খড়গে বলেছেন, বিরোধী দলগুলোর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্যই সরকার এমন পদক্ষেপ বেছে নিয়েছে।

বিরোধী নেতারা এটিকে ‘গণতন্ত্রের সাসপেনশন’ বলে অভিহিত করেছেন। এসময় বিরোধী দলের নেতারা এ ঘটনার মধ্যদিয়ে সংবিধানের কবর রচনা করা হচ্ছে বলে জানান।পরে ৪৯ জন লোকসভার এমপি বহিষ্কারের একদিন পর পার্লামেন্ট চত্বরে আসেন। এর আগে ৭৮ জন বহিষ্কৃত এমপির মধ্যে ৩৩ জন নিম্নকক্ষের ও ৪৫ জন উচ্চকক্ষের ছিলেন।এদিকে এমন ঘটনার নিন্দা জানিয়ে শিরোমনি আকালি দলের এমপি হার্সিম্রাত কউর বলেন, সংবিধানের কবর রচনা করা হয়েছে।

এর আগে পার্লামেন্ট ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটির বিষয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের কারণে ভারতের ইতিহাসে নজীরবিহীন এই ঘটনায় ১৪৩ বিরোধী এমপিকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ঘটনাকে গণতন্ত্রের জন্য আক্রমণাত্মক বলে অভিহিত করেছে বিরোধী দলগুলো। তারা ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির(বিজেপি) বিরুদ্ধে নৈরাজ্য সৃষ্টির অভিযোগও করেছেন।

১১টি বিরোধী দলের বহিষ্কৃত ১৪৩ জন এমপি রাজ্য ও লোকসভার সদস্য। ১৪৩ জন এমপির দুই-তৃতীয়াংশই নবগঠিত ইন্ডিয়া জোটের সদস্য।আনন্দবাজার জানিয়েছে, ১৩ ডিসেম্বর দুই যুবক লোকসভা কক্ষে দর্শক গ্যালারি থেকে সভাকক্ষে ঝাঁপ দেন। তাদের হাতে ছিল হলুদ রংমশালের কৌটো। এসময় হলুদ ধোঁয়ায় ভরে যায় সভাকক্ষ। তারা স্লোগান দিচ্ছিলো, ‘একনায়কতন্ত্র মানি না।

বিরোধী এমপিরা এই ঘটনা নিয়ে পার্লামেন্টে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতির দাবিতে ওয়েলে নেমে স্লোগান তুল ধরলে এরপর থেকে একের পর এক বহিষ্কারের ঘটনা শুরু হয়।এদিকে বুধবার আবারও ভারতের লোকসভায় সাময়িক বহিষ্কৃত হন আলাপুঝার সিপিএম এমপি এএম আরিফ ও আঞ্চলিক দল কেরালা কংগ্রেস (মণি)-র নেতা তথা কোট্টয়মের এমপি টমাস চাজিকাদন।

আনন্দবাজার আরও জানায়, এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে লোকসভা এবং রাজ্যসভা থেকে ১৪৩ জন এমপিকে সাসপেন্ড করা হল। এর মধ্যে লোকসভার এমপি ৯৭ জন।কংগ্রেস পার্লামেন্টারী দলের বৈঠকে সোনিয়া গান্ধী বিরোধীদের দাবিকে ন্যায়সংগত ও যুক্তিযুক্ত বলে অভিহিত করেন।তিনি বলেন, ১৩ ডিসেম্বরের ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বাভাবিক। ওই ঘটনা প্রমাণ করে নিরাপত্তাব্যবস্থায় কী পরিমাণ গলদ রয়েছে। অথচ সরকার এ বিষয়ে পার্লামেন্টে নীরব ভূমিকা পালন করছে।